‘সীমান্তের উত্তেজনা প্রমাণ করে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ সম্ভব না’
আক্তারুজ্জামান: সর্বশেষ ২০১২ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরজ খেলেছে দুদল। এরপর কেটে গেছে পাঁচ বছরের বেশি সময়। হবে হবে করেও বিভিন্ন কারণে দুদেশের মাঝে সিরিজ আয়োজন সম্ভব হয়নি। আর তারা হলো বিশ্বের অন্যতম দুই ক্রিকেটপাগল জাতি ভারত ও পাকিস্তান। ক্রিকেট অনুরাগীদের জন্য আবারও দুঃসংবাদ, শিগগিরই এই দুই শত্রু প্রতিবেশীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কোন সম্ভাবনা নেই।
গত রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কথায় ঠিক এমনটিই মনে হলো। তিনি দুদেশের সিরিজ আয়োজনের বিষয়ে জানিয়েছেন, দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা বিরাজমান। এমতাবস্থায় দুদেশের মাঝে এমন আয়োজন করা সম্ভব নয়।
২০১৪ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চুক্তি অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুই দেশের মাঝে ছয়টি সিরিজ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু গত চার বছরের মধ্যে এখনো একটিও সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়নি। দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনুষ্ঠিত না হওয়ায় পিসিবি ৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ক্ষতিপূরণও দাবী করেছিল আইসিসির কাছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অনেক চেষ্টা চালিয়েছে সিরিজ আয়োজনের জন্য। কিন্তু প্রতিবারই বাদ সেধেছে ভারত সরকার।
পাকিস্তান জোর প্রচেষ্টা চালালেও সুষমা স্বরাজ তার সরকারের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, সীমান্তে ব্যাপকভাবে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে, যা ক্রিকেট সিরিজ আয়োজনের প্রয়োজনীয় আবহ তৈরি হতে দিচ্ছে না। ক্রিকেটের মাঝে রাজনৈতিক ঘটনা টেনে আনায় ক্ষুদ্ধ অনেক ক্রিকেটার। যেমন এ ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রমিজ রাজা বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না কেন খেলাধুলাকে এসব ঘটনার মধ্যে টানা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমভাবে বিরাজমান। সীমান্তে কেউ কাউকে এতটুকু ছাড় দিচ্ছে না। তবে ভারতের দাবি, এই সীমান্ত উত্তেজনার জন্য পাকিস্তান দায়ী।