গুরুত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশের ১৮২ সদস্য পদক পাচ্ছেন
বিপ্লব বিশ্বাস : ২০১৭ সালে গুরুত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশের ১৮২ সদস্যকে পদক দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ (বিপিএম), ৭১ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক’ (পিপিএম) দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ সদস্যকে বিপিএম-সেবা ও ৫৩ জনকে পিপিএম-সেবা পদক দেওয়া হচ্ছে। এবারের পদক তালিকায় জঙ্গি দমনে যুক্ত পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রাধান্য রয়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারি পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮-তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পদক পরিয়ে দেবেন বলে জানা গেছে।
অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ র্যাবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান শহীদ লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়ছর ও পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম মরণোত্তর বিপিএম পাচ্ছেন। গত ২৫ মার্চ সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহলের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় ৩ কর্মকর্তা বোমা হামলায় নিহত হন।
এছাড়া অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি ও বর্তমানে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ডিসি মহিবুল ইসলাম খান, এডিসি এস এম নাজমুল হক ও এডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরীসহ ৩০ কর্মকর্তা বিপিএম পাচ্ছেন।
বিপিএম-সেবা পদক পাচ্ছেন সিআইডির অতিরিক্তি আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহম্মেদ, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা জেলার এসপি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের এডিসি নাজমুল ইসলামসহ ২৮ জন।
পিপিএম পদক পাচ্ছেন র্যাবের লে. কর্নেল আরিফ উদ্দিন মাহমুদ, লে. কর্নেল মাহাবুব আলম, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ডিসি প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ ৭১ জন। অপরদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি রৌশন আরা বেগম, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলামসহ ৫৩ জন পিপিএম-সেবা পদক পাচ্ছেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম