মসজিদে না ঘরে নামাজ আদায় করব
মুফতি আবদুল্লাহ তামিম : আল্লাহ তায়ালার বিধিবদ্ধ ফরজ ইবাদতগুলোর মধ্যে নামাজ অন্যতম। নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাওয়াই নিয়ম। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ঘরে এবং বাজারে নামাজ পড়া অপেক্ষা জামাআতের নামাজে ২৫ গুণ অধিক সওয়াব। কেউ যখন উত্তমরূপে ওযু করে মসজিদের দিকে বের হয় এবং শুধুমাত্র নামাজের উদ্দেশ্যেই সে মসজিদে যায় তখন তার প্রত্যেকটি পদক্ষেপের জন্য তার একটি পদ-মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তার একটি করে গুনাহ মাফ হয়। নামাজ পড়ে সে যতক্ষণ জায়নামাযে থাকে, ফেরেশতারা তার জন্য ততক্ষণ এ বলে দোয়া করে, হে রব! তাকে তোমার রহমত দান কর, তার প্রতি অনুগ্রহ কর। আর তোমাদের কেউ যতক্ষণ নামাজের অপেক্ষায় থাকে সে ততক্ষণ নামাযের মধ্যে আছে বলে পরিগণিত হয়। (বুখারী-৬১১) মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের সওয়াব সম্পর্কে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত একা পড়ার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি। (বোখারি ও মুসলিম)
হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে আরও বলেছেন, একজন লোক ঘরে নামাজ পড়লে একটি নেকি পান, তিনি ওয়াক্তিয়া মসজিদে পড়লে ২৫ গুণ, জুমা মসজিদে পড়লে ৫০০ গুণ, মসজিদে আকসায় পড়লে ৫০ হাজার গুণ, আমার মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে পড়লে ৫০ হাজার গুণ এবং মসজিদুল হারাম বা কাবার ঘরে পড়লে এক লাখ গুণ সওয়াব পাবেন। (ইবনে মাজা ও মিশকাত) মসজিদে নামাজ আদায়ে শুধু যে বান্দার আত্মিক উন্নতি হয় তাই নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। জামাতে নামাজ আদায় করায় মুসলমানরা দৈনিক পাঁচবার একত্রে মিলিত হওয়ার সুযোগ পান। ফলে তাদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে ওঠে। ফলে একতাবদ্ধ হয়ে সৎ কাজ করার শিক্ষা জামাতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নামাজের প্রথম সারি হলো ফেরেশতাদের সারির মতো। তোমরা যদি প্রথম সারির মর্যাদা সম্পর্কে জানতে, তবে তা পাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তে। মনে রেখো, একা নামাজ পড়ার চেয়ে ২ ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়া উত্তম। আর দুই ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়ার চেয়ে ৩ ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়া উত্তম। এভাবে যত বেশি লোকের জামাত হবে, তা আল্লাহর কাছে তত বেশি প্রিয় হবে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম