দেশের জন্য কাজ করতে চাই
পাঠান (ফারুক)
একটা বছর যায়, একটা বছর আসে। বছরের কাছে প্রত্যাশা মানে জীবনের কাছে প্রত্যাশা। সেটা তো আমার জন্মের পর থেকেই আছে। জন্মের পর থেকেই মানুষের প্রত্যাশা থাকে। প্রথম থাকে খেলাধুলা করবো, মজার মজার খাবার খাবো। তারপর যখন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে, তখন বাবা মায়ের প্রত্যাশা হয়। যখন নিজের জ্ঞান হয়, তখন মানুষ নিজেই ভাবে তার কি কি প্রয়োজন? এ রকম করতে করতে আজকে ২০১৮ সাল। ২০১৬-১৭ সালে প্রত্যাশা ছিল ব্যবসাটাকে বড় করবো। আমার একটি টেক্সটাইল আছে। আমি পলিটিক্স করি, অভিনয় করি, এখনও ব্যবসা করি। পলিটিক্সও করি। কারণ, কিছু কিছু কাজ আছে যা একটি চেয়ার না হলে করা যায় না, বলা যায় না। ওটার কোনো ভ্যালুস নাই। কারো কাধে থাকতে চাই নি। নিজের পায়েই দাড়িয়েছি। কারোটা নেই নি। বাবারটাও না। আল্লাহ পাক আমাকে চালিয়েছেন। আমার একটা টেক্সটাইল আছে । বহু কষ্ট করে সারাজীবনে যে পয়সা আমি অর্জন করেছিলাম সবটা আমি এখানে পুঁজি করেছি। ব্যাংক আমাকে ব্লাফ দিয়েছে। কষ্ট দিয়েছে। ব্যাংকাররা বলতো, আরে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ভাই এসেছে। আমার বন্ধুরা বলে, ফারুককে যদি তিনশো টুকরো করা হয়, প্রতি টুকরো থেকে আওয়াজ আসবে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু। এতটাই ভালোবাসি। আমি বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক। তার আদর্শের মানুষ। যে যত কথাই বলুক, আমাদের জাতির পিতা তিনি, তাকে সম্মান দিতেই হবে।
আমি ছোটবেলা থেকে তাকে দেখেছি, যেটা ভুলবার নয়। তিনি সব সময় দুঃখী মানুষের, গরীব মানুষের কথাই ভেবেছেন। এবং তার শেষ রক্ত বিন্দুটিও দিয়ে গেছেন এ দেশের গরীব দুঃখী মানুষের কথা বলতে গিয়ে। আমার যেটা মনে হয়েছে ওই যে কথাগুলো বলি, তার বিরোধিতা করেন যারা, তারাই ব্যাংক ধরে বসে আছেন। ব্যাংক হলো টাকার জায়গা। টাকার আরেকটি নাম হল সেকেন্ড গড। যারা রাজনীতি করতো এক সময়, চারদলীয় জোট, এরা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। এবং এই কষ্ট করতে করতেই যখন ভাবলাম যদি সৎ লোকেরা আসে তাহলে আমি দাড়িয়ে যাবো। আমার নিজের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে নিজে তৈরি করেছিলাম একটা ফ্যাক্টরি। বড় আশা নিয়ে টেক্সটাইলটি
গড়েছিলাম। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায এল। অর্থমন্ত্রীর কাছে গেলাম। প্রথম প্রথম আশ্বাস পেলাম। তারপর আমাকে চেনেনই না। উনি জানেই না, আমি ফারুক কে? এটাই আমার অপ্রাপ্তি। আর প্রাপ্তি হল এটাই যে, আমি একটা কম্পোজিট করবো, আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পরে আমাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। সুতরাং আমি ২০১৬ এবং ২০১৭ তে কিছুই পাই নি , নিরাশ একটা লোক। ২০১৮ তে এসে আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলবো। কিন্তু আমার আশা-নিরাশা আমার যে দুঃখ ২০০২ থেকে শুরু হয়েছে, আমার অনেক আশা ছিল, সব নষ্ট করে দিয়েছে ব্যাংক এবং অর্থমন্ত্রী। মন্ত্রীরা যে চোখ উল্টিয়ে ফেলে জানতাম না। সবাই নায়ক ফারুককে চিনে। উনি চেনেন না। আপাকে বললে মনে হয় না আমাকে ফিরিয়ে দেবে। আমি আপার কাছে এবার যাবো নমিনেশন চাইতে। আমি জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। নমিনেশন পার্টির লোককে দেয়াই উচিত, যিনি জনপ্রিয় ও সুপরিচিত। আগে যিনি মেয়র ছিলেন তিনি সাহসী ছিলেন, কর্মঠ ছিলেন। এখানে চ্যালেঞ্জ আছে। সেই মেয়র হবে যে আগামী ইলেকশনে ঢাকা শহরটাকে ভালোবাসা দিয়ে হাতের মুঠোয় আনতে পারে। শেখ হাসিনাকে বার বার ভোট দেওয়া দরকার, দেশের উন্নয়নের জন্য। যারা সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালোবাসে, তাদেরকে বেছে নেওয়ার এখনই সময়।
পরিচিতি : চলচ্চিত্র অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ