দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মধ্যবিত্তের আয় আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)
মাথাপিছু আয় বেড়েছে মধ্যবিত্তের। নিম্নবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তের আয় বাড়ে নি। বর্ধিত আয়ে মধ্যবিত্তেরও কোনো লাভ হয় নি। কারণ, পেয়াঁজ ও চালের দাম বেড়েছে। এক কেজি পেয়াঁজ ৯০ টাকা, চাল ৬০ টাকা। একজন নিম্নবিত্ত মানুষ কি করে পেয়াঁজ ও চাল কিনে খাবে? স্বল্প আহার খিচুড়িও তো রেধে খাওয়া সম্ভব নয়। তার ওপর দেশে বন্যা হল। রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করলো। রোহিঙ্গাদের জন্য না হয় সাহায্য পাওয়া গিয়েছে কিন্তু বন্যা কবলিত মানুষদের ত্রাণ আসবে কোথা থেকে? বন্যায় তো সব ধানের জমি ডুবে গিয়েছে। চাল ৪০ টাকা করে খাওয়ানোর কথা ছিল। চালের দাম ৬০ টাকা। এটা কি ব্যবসায়ীরা নিল না আড়তদার নিল? অর্থমন্ত্রী বললেন, সবাই মিলে মিশে নিয়েছে। এই যে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল সরকার, সেটা নাকি কৃষকের জন্য। কৃষক যাতে লাভবান হতে পারে। এটা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য। কিন্তু তিনি জানেন না চালের দাম বৃদ্ধি পেলেও কৃষকের তাতে কোনো প্রকার লাভবান হবার সম্ভাবনা নেই। কারণ, কৃষক চালের দাম পায় না। কৃষক বিক্রি করে ধান। কৃষক যখন ধান কাটবে তখন কিনে নেন। তাহলে কৃষক সরাসরি কিছু টাকা পাবে। কৃষককে লাভবান করতে হলে ধানের সারের দাম কমাতে হবে। বীজের দাম কমাতে হবে।
পরিচিতি: চলচ্চিত্র অভিনেতা ও ব্যবসায়ী/মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ/সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ