টেলিকম খাতে ক্যান্সারের মতো সমস্যা : মোস্তাফা জব্বার
তানভীর আহমেদ : টেলিকম খাতে ক্যান্সারের মতো সমস্যা আমি বাইরে থেকে যা জানতাম আমাদের আইটি রিলেটেড এরিয়াতে তার থেকে হাজার গুণ বেশী সমস্যা রয়েছে। আমি ধারণা করতে পারিনি টেলিকম ডিভিশনের ভিতরে ক্যান্সারের মতো সমস্যা বিরাজ করে এবং তার সমাধান করার জন্য কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বেসিস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষদের ইন্টারনেট দিতে হবে। ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমাদের টেলিকমসহ এধরণের সকল খাতগুলোর জটগুলো ছাড়িয়ে দিতে হবে। বর্তমানের ইন্টারনেটের অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। একবছর অনেক সময় ইন্টারনেটের এই প্রসারণের জন্য।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আরও বলেন, আমি সচিবালয়ে বসবো। তবে বেশিরভাগ সময় কাটাবো আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের আইসিটি বিভাগে। আইসিটি বিভাগে আমার সময় কাটবে। আইসিটি বিভাগে সবাই সহজে আমার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবে, সচিবালয়ে যা নেই। আমি সুযোগটি কাজে লাগাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে বদলাতে হলে সরকারে সব সেবাকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। এর পরেই গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করা। এসব কাজ করার জন্য আমি আগামী একবছর সংগ্রাম করে যাব। যতটুকু পারবো নিজেরাই করবো। যখন সাহায্যের প্রয়োজন হবে তখন বিদেশীদের সাহায্য নিবো।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার যা করার তা এই এক বছরেরই করতে হবে। এজন্য আপনারা আমাকে জানান কী কী করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিটিআরসি এখনও ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দিতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা। অপারেটরগুলো ব্রডব্যান্ড ক্রয় করে ডেটা বিক্রি করে এটা অন্যায়, এটা করতে দেয়া হবে না। বিদেশি সফটওয়্যার এদেশের বাজারে আধিপত্য করতে দেয়া হবে না। দেশে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্য দেশের মানুষের চাহিদা মেটাবে। ২০১৮ সালে অনেক পণ্যে মেড ইন বাংলাদেশ লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বেকার সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য সকলধরণের ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হবে।