তিন ব্যক্তির ওপর রাসুলের (সা.) এর অভিশাপ মুনশি মুহাম্মদ আবু দারদা
রাসুল (সা.) বলেছেন তিন ব্যক্তির উপর অভিশাপ এক.যে ব্যক্তি সুদ ঘুষ খায়। দুই. যে ব্যক্তি সুদ ঘুষ দেয়। তিন. উপরে উল্লেখিত দুইজনের মধ্যে যে ব্যক্তি দালালি করে দেয় ( মুসনাদে আহম)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন “যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে? তাদের এই অবস্থায় উপনীত হবার কারণ হচ্ছে যে, তারা বলে ব্যবসা তো সুদেরই মতো ?” অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এই উপদেশ পৌঁছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরি থেকে সে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তাতো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে। আর এই নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এই কাজ করে, সে জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে সে থাকবে চিরকাল ?(সূরা : বাকারা,আয়াত : ২৭৫) অন্য জাগায় আল্লাহ বলেন যারা সুদ খায় তারা সেই ব্যক্তির ন্যায় দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করেই পাগল করে দেয়। এটা এই জন্যেই যে তারা বলে বেচা-কেনা তো সুদেরই মত। (সূরা বাকারা,আয়াত : ২৭৫)
অন্যত্র রাসুল (সা:) বলেছেন একটা সময় এমন আসবে, যে সময় হাকিম এবং বিচারকরা টাকায় বিক্রি হবে! যার কাছে টাকা হবে সে তার হাজারো দোষ হলে ঘুষ দিয়ে ফয়সালা নিজের পক্ষে নিয়ে নিবে! সুবিচার এবং ইনসাফের নাম গন্ধও বাকি থাকবে না! সঠিক ভাবে ফয়সালা হবেনা। সুতারাং ঘুষ খোরের মতো ফয়সালা হবে! হাকিম নিজে বলবে আমার কলম তো এটা বলতেছে, যে বেশি ঘুষ দেবে তার ব্যপারে ফয়সালা করো! আগের যুগে মানুষ এটা গোপনে করতো কিন্তুু এখন আর সেই জামানা নেই। প্রকাশ্যভাবে মানুষেক সামনে ঘুষ খেয়ে ফয়সালা করে দেয়!