আসামের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দাকে ‘বিদেশি’ ঘোষণা
বাংলাট্রিব্উিন : নাগরিক নিবন্ধন নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই নাগরিকত্বের ‘সন্দেহজনক’ (ডি-ভোটার) তালিকায় থাকা প্রায় ২০ হাজার মানুষকে এরইমধ্যে ‘বিদেশি’ ঘোষণা করেছে আসাম। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের ‘ফরেনার ট্রাইব্যুনাল’। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে উদ্ধৃত করে উত্তরপ্রদেশভিত্তিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন এ খবর জানিয়েছে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তালিকার প্রথম খসড়া প্রকাশ করে আসামের রাজ্য সরকার। প্রকাশিত খসড়া তালিকায় স্থান হয়নি প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ বাসিন্দার। যাচাই বাছাই শেষে তাদের নাম পরবর্তী ধাপের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এরইমধ্যে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে কিরেন রিজিজু জানান, ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আসামের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল ১৯,৬১২ জন সন্দেহজনক ভোটারকে বিদেশি ঘোষণা করেছে। আসামের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের সংশোধিত ভোটার তালিকায় আসামের ৩ লাখ বাসিন্দা সন্দেহজনক নাগরিক কিংবা ডি-ভোটার হিসেবে চিহ্নিত হন। যাচাই-বাছাইয়ের সময় ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারা বাসিন্দাদেরই ‘ডি’ ভোটার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। ২০১১ সালে ‘ডি’ ভোটারদেরকে ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল অর্ডার ১৯৬৪’ এর আওতায় স্থাপিত ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের বিচারের আওতায় স্থানান্তরের আদেশ দেয় গৌহাটি হাইকোর্ট। এরপর থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় সন্দেহজনক নাগরিকদের মধ্যে থেকে কাউকে বিদেশি হিসেবে শনাক্ত করার এখতিয়ারটি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের। এখন জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) তালিকার দ্বিতীয় খসড়া প্রকাশের জন্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। তবে ইতোমধ্যেই বিদেশি হিসেবে শনাক্ত হওয়া এইসব মানুষের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া আর তালিকায় নাম আসার সুযোগ নেই। নিউজ এইটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব মানুষকে ফরেইনার ট্রাইব্যুনালে বিদেশি ঘোষণা করা হবে তাদের জন্য একমাত্র উপায় হবে হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিমকোর্টের শরণাপন্ন হওয়া। কেবল ওই দুই বিচারিক প্রতিষ্ঠানেরই ফরেনার ট্রাইব্যুনালের রায় পরিবর্তন করার এখতিয়ার আছে। সুনির্দিষ্ট সংখ্যক বাসিন্দাকে বিদেশি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা, লোকসভায় ওঠা এমন এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিজিজু দাবি করেন, ‘ডি’ ভোটারদের (সন্দেহজনক ভোটার) কাছে নোটিশ পাঠানো একটি আইনি প্রক্রিয়া। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ