রোগীকে কমিশন দেয় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল
রিকু আমির : চিকিৎসককে না দিয়ে রোগীকে কমিশন দেওয়া হয় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে। সেবা গ্রহীতার সঙ্গে নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন আচরণে অঙ্গীকারবদ্ধ তিন বছরে পদার্পণ করা এই হাসপাতাল। ঢাকার কল্যাণপুর এবং ধানমন্ডিস্থ বাংলাদেশ আই হসপিটালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর আলম মুকুট এসব কথা বলেছেন এ প্রতিবেদককে।
তিনি বলেন, এই হসপিটাল কমিশন বেইজ নয়, ইথিক্যাল বেইজ। বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষাসহ চিকিৎসায় নানা ধরনের ব্যয়ের উপর এই কমিশন দেওয়া হয় রোগীকে।
বর্তমানে ১৪তলার একটি ভবনে ১২০ শয্যা, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, নিউনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, করোনারি কেয়ার ইউনিট, কার্ডিয়াক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, এনজিওগ্রাম, হেমোডায়ালাইসিস, প্লাস্টিক সার্জারি, লেজার ডার্মাটোলজির পাশাপাশি বাইপাস সার্জারি, ওপেন হার্ট সার্জারির ব্যবস্থা আছে এখানে। স্নায়ু চিকিৎসায় অত্যাধুনিক নিউরো নেভিগ্রেশনও এখানে চালু করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে শুধুমাত্র এ হসপিটালেই নিউরো নেভিগ্রেশন চালু আছে বলে দাবি করেন ডা. জাহাঙ্গীর আলম মুকুট।
আগামী মার্চে ১২ তলা বিশিষ্ট আরেকটি ভবনে ১৫০ শয্যা চালু হতে যাচ্ছে। এটা হয়ে গেলে আরও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে বলে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে।
৩০টিরও বেশি বিভাগ-উপবিভাগ সম্পন্ন এ হসপিটালের বর্হিবিভাগে বসছেন ৭০ জন চিকিৎসক। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ২৫০ জন রোগী সেবা পাচ্ছেন এই বর্হিবিভাগ থেকে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম