সুযোগ পেলে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে চান ইভানকা
লিহান লিমা: সুযোগ পেলে বাঘের চোখ কে ই বা হাতছাড়া করে ? মার্কিন ফার্স্ট ডটার ও হোয়াইট হাউসের পরামর্শক ইভানকা ট্রাম্পও সুযোগেরই অপেক্ষায় রয়েছেন। সদ্য প্রকাশ করা বই ‘ফায়ার এন্ড ফুরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ এ এমনই দাবি করেছেন সাংবাদিক মাইকেল উল্ফ।
বইটি লিখতে গিয়ে মাইকেল হোয়াইট হাউসের এবং ট্রাম্প প্রশাসনের ২০০ ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেন। বইটির বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানায়, যদি সে রকম কোন সুযোগ আসে তাহলে ফার্স্ট ডটার থেকে ফার্স্ট উইম্যান প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন ইভানকা-কুশনার। এমনকি ইভানকা ‘আমেরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট’ বিষয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত।
বইতে মাইকেল দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, ইভানকার জীবনসঙ্গী জ্যারেড কুশনার পক্ষপাতিত্ব কিংবা নিজের লাভের জন্যই হোক, তিনি আনুগত্য বজায় রাখেন, তাই এই দম্পতির ওয়াশিংটন ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়। যদিও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ওয়াশিংটনে থিতু হন ইভানকা-কুশনার দম্পতি। এরপরতো ট্রাম্প প্রশাসনে জায়গা করার খাতিরে হোয়াইট হাউসে ব্যক্তিগত অফিস পান তারা।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকেবি এই বইকে ‘চকচকে ট্যাবলয়েড গল্প’ বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘এটি মিথ্যে এবং ভুয়া তথ্যে পরিপূর্ণ।’
যদিও এর আগে ইভানকার মা ইভানা ট্রাম্প ‘রাইজিং ট্রাম্প’ বইতে লিখেন, হোয়াইট হাউসে ফার্স্ট লেডি হিসেবে জায়গা করে নেয়াটা তার কাছে অতটা গুরুত্ব পায় না। এর চেয়ে ‘ফার্স্ট মাদার’ শব্দটিই তিনি বেশি পছন্দ করেন। নিজের মেয়ে সম্পর্কে ইভানা বলেন, ‘হয়তো ১৫ বছরের মধ্যেই ওভাল অফিসে ইভানকাকে দেখা যাবে। কে জানে? একদিন হয়তো সে প্রথম নারী এবং ইহুদি প্রেসিডেন্ট হবে।’ এছাড়া ২০১৬ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের সময়ও ট্রাম্পের সমর্থকরা ‘ইভানকা-২০২০’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল। ডেইলি মেইল, সিএনএন।