ভয়ঙ্কর এক প্রতারকের বিচার দাবি ভুক্তভোগীদের
ইসমাইল হোসেন ইমু : কখনো চাকরি দেয়া কখনো বিদেশে লোক পাঠানো আবার কখনো সরকারি চাকুরেদের পদোন্নতির কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের হোতা পিযুস কুমার দাসের বিচার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার শিকার একাধিক ব্যক্তি।
লিখিত বক্তব্যে সারোয়ার মোর্শেদ জানান, এই পিযুস কখনো সরকারের মন্ত্রী আমলা ও প্রভাবশালীদের নাম ভঙ্গিয়ে জমি বিক্রি, স্কুল কলেজে ভর্তি, চাকরি দেয়াসহ নানা প্রলোভনে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। নিজেকে সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট দাবি করে এই প্রতারক। তার এসব অপকর্মের বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। এরপরও তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, পিযুস কুমার রাজধানীর ফকিরাপুলের শতাব্দি টাওয়ারে ১৬ তলায় প্রাইম হাউজিং ও সানসানইন প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে দুটি অফিস ছিল। এই অফিসে তার কোন বৈধ লাইসেন্স ছিলনা। কিন্তু এই অফিস দেখিয়েই বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়েছে। চাকরি না হওয়া বা কোন কাজ না হওয়ার পরে তার কাছে টাকা দাবি করলে নানা তালবাহানা করতে থাকে। অনেক সময় নিরীহ পাওনাদারদের হুমকিও দিয়ে আসছে। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের একটির এমডি দাবি করে পিযুস। এছাড়া অন্যটির চেয়ারম্যান দাবি করে তার সহযোগি নিরঞ্জন দাস। এরা মিলে সাধারণ মানুষকে বিদেশে লোক পাঠানো, বদলিসহ নানাভাবে টাকা আদায় করে আসছে। ভুক্তভোগীরা তার এহেন কর্মকান্ডের বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করেছে। আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থার কাছে আবেদন এই প্রতারককে দ্রুত গ্রেফতার করে পাওনাদারদের টাকা আদায় করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম পারভেজ, রাজেদুল ইসলাম সাইদ, রাশেদুল হাসান, শাহিদা সুলতানা, মো. ইলিয়াস হোসেন, রুহুল আমিন, মেজবাউল আলম প্রমুখ।