নতুন মুখের সন্ধানে আমি আশাবাদী
মানুষ এখন ছবি দেখতে হলে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। প্রথমত, হলের পরিবেশ ভালো করতে হবে। এটা হল মালিকদের দায়িত্ব। হলের পরিবেশ ভালো হলে, দর্শক হলে গেলে অবশ্যই ছবির মালিকরা লাভবান হবে। ছবি বেশি বেশি বানাবে। ছবি তৈরি করে যদি টাকা না পায়, বার বার তো আর লোকসান দিতে পারবে না। ভালো ছবি তৈরি কমে যাচ্ছে। এখনকার সিনেমার মান ভালো যেমন আছে, খারাপও তেমন আছে। প্রযোজকরা সিনেমা হলগুলো থেকে সেই পরিমাণ টাকা পাচ্ছে না। ফলে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। একটা ছবিতে ব্যবসা না করলে পরবর্তী ছবি তৈরি করবে কিভাবে? এখন অনেকেই শখের বসে সিনেমা বানাতে এসেছে। তাদের সিনেমার মান নিয়ে সংশয় রয়েছে। যেহেতু তারা প্রফেশনাল নয়। তাই তাদের বানানো সিনেমা দর্শক প্রিয় হচ্ছে না। চলচ্চিত্রে এখন গল্প সংকট, শিল্পি সংকটের পাশাপাশি পরিচালক সংকটও রয়েছে। পরিচালক যারা আছেন, তারা যদি ভালো প্রযোজক পায়, সেই পরিমাণ বাজেট পায়, তাহলে একটি ভালো মানের ছবি আশা করা যেতেই পারে। বিগত দিনে যে ক’টি ছবি হিট হয়েছে, সেগুলো বাংলাদেশের প্রথিতযশা ডিরেক্টররাই তৈরি করেছেন। ভালো টেকনিশিয়ান আছে কিন্তু পুঁজি পাচ্ছে না। প্রডিওসারের অভাব। ছবির মান বাড়ছে না। ভালো ছবি হচ্ছে না। অনেক বেশি বাজেট দিতে পারে দুই দেশে চালানোর উদ্দেশ্যে যৌথ প্রযোজনার ছবি। সেজন্য যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে খানিকটা আশাবাদী। নতুন মুখের সন্ধানে শুরু হতে যাচ্ছে। আমি আশাবাদী যে, নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্র কিছু ভালো শিল্পী পেতে যাচ্ছে।
পরিচিতি : চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি
মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ