বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লোক পাঠিয়ে ক্যাম্পেইন করতে হবে ড. আতিউর রহমান
প্রতিবছর আমাদের দেশে রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এটিকে আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব। আমাদের বিদেশি শ্রমিক যে উপায়গুলোতে টাকা পাঠায়, সেগুলোতে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এই প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে। তাদের টাকা পাঠানোটি সহজ করতে হবে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কিছু ঝুঁকি আছে। এই ঝুঁকিগুলোকে দূর করতে হবে। যেভাবে শ্রমিকরা টাকা পাঠায়, সেটিকে লিগেলাইজ করতে হবে। বিদেশে কিছু ইলিগেল এজেন্টও আছে। যারা মোবাইল ব্যাংকিং বা বিকাশের নামে অবৈধভাবে টাকা পাঠায়। আমাদের সরকারের উচিত এসব এজেন্টদের লিগেলাইজ করা। তাদের লিগেল করলে আমাদের দেশে টাকাটিও আইনানুগভাবে আসবে। তখন আর অবৈধ হু-ি বা মোবাইল ব্যাংকিংগুলো থাকবে না। অথবা আমাদের যে একচেঞ্জগুলো আছে, তারাও মোবাইল টেকনোলজিটি ব্যবহার করতে পারে। একজন মানুষ যদি তার কর্মস্থল থেকে টাকা পাঠানোর সুবিধা পায়, তাহলে সে ঐ ব্যবস্থায় টাকা পাঠাবে। যে সুবিধাটি হু-িওয়ালারা দিচ্ছে। কারণ, অনেক শ্রমিকরা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে টাকা পাঠাতে পারে না। আমাদের সরকারের উচিত, তাকে সেই সুবিধাটি করে দিয়ে তার থেকে টাকাটি নিয়ে আসা। আরও একটি দিক হচ্ছে, আমাদের একচেঞ্জ হাইজের যে রেইট আছে, সেটিকে হু-ি ব্যবসায়ীদের রেইটের সাথে মিল রাখতে হবে। দু’টির মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না থাকে। যারা হু-িতে টাকা পাঠায় তারা জানে এটি ঝুঁকিপূর্ণ। তবু সহজে টাকা পাওয়া আর কিছু সুবিধার কারণে এই অবৈধ পথটি বেঁছে নেয়। আমার সময় চেষ্টা করেছি, অফিসিয়াল আর আনঅফিসিয়াল রেইটটি এক সমান রাখার জন্য। তাই রেমিটেন্স বেশি আসত। আর একটি দিক হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লোক পাঠিয়ে ক্যাম্পেইন করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, হু-ির মাধ্যমে টাকা পাঠালে কি কি ঝুঁকি আছে। তাহলে আমার মনে হয় রেমিটেন্সটি আরও বৃদ্ধি পাবে।
পরিচিতি : সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ