হলুদে সেজেছে ফসলের মাঠ
শরিফ উদ্দিন সাকিদার,শেরপুর(বগুড়া): প্রকৃতিতে বইছে বেশ শৈত্যতা, ভোরের শিশির, শীত সকালের মিষ্টি রোদ আর শীতল বাতাসে সারিবদ্ধ সরষে তরু হলুদ পুষ্পকে শরীরে আগলে শীত উৎসবের আনন্দে উদ্বেলিত। তবুও দিগন্ত জোড়া হলুদে মাতোয়ারায় ফুলের আবরণে ঢাকা পড়েছে ফসলের জমিগুলো।
এ স্বাদ গ্রহইে মধুচাষীরাও সরষে ফুলের মধু সংগ্রহে তাদের চাষকৃত মৌমাছির বাক্স নিয়ে আবাস গড়েছে মাঠে মাঠে। আর তাই এখন বগুড়ার শেরপুরের মাঠগুলোতে বসেছে মৌমাছি ও ভ্রমরের মেলা। ভ্রমরের ঠোট ও হুলের স্পর্শের ব্যাকুল যৌবনবতী হলদে রানীও প্রস্তুত হচ্ছে শস্য ধারণে। কয়েকদফা বন্যায় ধান চাষে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে তারা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। চাষাবাদ শেষ এখন হলুদে সেজেছে বিস্তৃত ফসলের মাঠ। এবছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে এই উপজেলায় ২৬’শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন হলেও অর্জিত হয়েছিল ১৯শ হেক্টর জমি। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর ১৯শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১৫শ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হচ্ছে।
উপজেলার শঠিবাড়ীর আব্দুল কুদ্দুস, মোজাম্মেল হক , আব্দুল ওয়াদুদ, খানপুরের আকিম উদ্দিন, খয়বর আলী, জয়নগরের জহুরুল ইসলাম, বিশালপুরের ওয়াজেদ আলী, জাকির হোসেনসহ একাধিক সরিষা চাষী বলেন, আমন মৌসুমে ধানে লোকসান হয়েছে। তাই ধানের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে বোরো মৌসুমের আগে জমিতে সরিষাসহ রকমারি রবি ফসল চাষ করছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান