আহেদ তামিমির মুক্তির দাবিতে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ
বাংলাট্রিবিউন : ফিলিস্তিনি জাতিমুক্তির আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা আহেদ তামিমির মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ হয়েছে। শহরের প্রধান কেন্দ্রীয় টার্মিনালে এ বিক্ষোভে কয়েকশ মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনে আগ্রাসন বন্ধ ও ইসরায়েলকে দেওয়া মার্কিন সহায়তা স্থগিতের আহ্বান জানান। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
আহেদ তামিমির মুক্তির দাবিতে নিউ ইয়র্কের প্রধান কেন্দ্রীয় টার্মিনালে জড়ো হন কয়েকশ মানুষ আহেদ তামিমিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিক্ষোভকারীরা ‘অবিলম্বে আহেদ তামিমির মুক্তি চাই’, ‘ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করা বন্ধ করতে হবে’, ‘ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে’ লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে সেøাগান দেন। দুই সপ্তাহ আগে রাতের বেলা অভিযান চালিয়ে দখলদার ইসরায়েলি সেনাকে থাপ্পড় ও লাথি মারার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনায় আসে ১৬ বছর বয়সী আহেদ। সে সময় তামিমিসহ তার মাকে গ্রেফতার করে ইসরায়েলি সেনারা। তাকে দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। তামিমি রূপান্তরিত হন ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের প্রতীকে। তার মুক্তির জন্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বিভিন্ন আরব দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এবার নিউ ইয়র্ক থেকে বিক্ষোভের খবর জানা গেলো।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, ইসরায়েল আহেদ ও তার মাকে অবৈধভাবে আটক করেছে। এতে আহেদ তামিমির পরিবারের আন্দোলনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ আন্দোলনের কারণে তার পরিবারের অনেককে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি করেছে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ওই বিক্ষোভ শেষ হয়েছে। গত সোমবার আহেদ তামিমি ও তার মা নারিমানকে আরও আট দিন আটক রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালু রাকার জন্য আটকের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে সে সময় জানানো হয়। ইতার বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, ইসরায়েলি সেনাদের হুমকি, সেনাকে আক্রমণ, সেনাদের দায়িত্ব পালনে বাধা, প্ররোচনা ও সম্পত্তি নষ্ট করা। তামিমির মায়ের বিরুদ্ধেও এসব অভিযোগের পাশাপাশি ভিডিওটি ফেসবুকে প্রকাশ করে অন্যদের এসব কাজে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানির অংশ হিসেবে তাদের আটকের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ