নির্বাচনি বছরে রাজপথে বিএনপিকে কোনো ছাড় দেবে না আ.লীগ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : আগামী সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাজনীতির মাঠ দখলে রাখার পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ। কোনভাবেই বিএনপিকে ছাড় দেবে না ক্ষমতাসীন দল। দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে, বিএনপির যে কোন কর্মসূচির দিনসহ আগে পরে তিন দিন দেশব্যাপি সভা-সমাবেশ, মিছিলসহ কর্মসূচি রেখে মাঠে সক্রিয় থাকতে হবে দলকে।
দলীয় বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, বছরের শুরুর দিন থেকেই আওয়ামী লীগ মাঠে রয়েছে। ৫ জানুয়ারির সরকারের ৪ বছর পূর্তির দিন বিএনপির দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে ৪, ৫ ও ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কর্মসূচি দিয়েছে।
গতকাল রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির বিপরীতে ছাত্রলীগের আনন্দ র্যালি ও সমাবেশ করে মাঠ দখলে রেখেছে দলটি।
বছরব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ভোট কেন্দ্রভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি, পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ এবং কমিটি গঠনের কাজ। প্রথমে মাস্টার্স ট্রেইনার্স তৈরি করা হবে, যারা বিভাগে গিয়ে এজেন্ট প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এরপর এজেন্ট প্রশিক্ষকরা জেলায় গিয়ে স্থানীয় এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
নির্বাচনী প্রচারণা ও দলের সাংগঠনিক কর্মকা-ে তৎপরতা বাড়াতে ৯ জানুয়ারি থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্যের নেতৃত্বে ১৫টি টিম সাংগঠনিক সফর শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সফরে জেলা-মহানগর, থানা-উপজেলায় বর্ধিত সভা করা হবে। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ঢাকাসহ সারা দেশে সমাবেশ ও র্যালি করা হবে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসজুড়ে থাকবে কর্মসূচি। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস ২৩ জুন আনন্দ-উৎসবের আমেজে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে। আগস্টমাসে থাকবে শোকের কর্মসূচি। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ বলেন, ২০১৮ সালে দল নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। বিএনপিকে প্রতিহত করার কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। এমনিতেই বছরজুড়ে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই একবছর নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মসূচি হবে।
আজ রোববার বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের খ-চিত্র প্রদর্শন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির উদ্যোগে আজ সকাল দশটায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্যের খ-চিত্র প্রদর্শন’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যে ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের দুঃখ-কষ্ট ও যন্ত্রণার কথা বলবেন।