হাওরের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে : খালেকুজ্জামান
আহমেদ ইসমাম : বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে একদল অসাধু ব্যবসায়ী বা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা লুটেরাগোষ্ঠী রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক হচ্ছে। সাধারণ মানুষের পকেট কেটে, জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কোনো কারণ নেই। সরকার কোনো একটা অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে এমনটা করছে। হাওরের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতিটা পুরণ করার জন্য সরকার যেমন আগাম কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যার ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা এর সুবিধা নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে বাসসের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান এ সব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মরিচের আমদানি মূল্য যদি ২৫ টাকা হয়, তাহলে বাজার মূল্য কীভাবে ২০০ টাকা হবে? আমদানিও আছে আবার জিনিসপত্রের দামও চড়া, এটা কীভাবে হয়? নয় কোটি কেজি চাল যদি দৈনিক চাহিদা থাকে, তবে প্রতি কেজি চালে ১০ টাকাও যদি বাড়ে, তাহলে বছরে তারা ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার মালিক হচ্ছে সিন্ডিকেটকারীরা। এভাবে অন্যান্য পণ্য অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের বাজেটের চেয়েও বেশি পরিমাণের টাকা একটি মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর হাতে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই সব করতে পারছে ক্ষমতাশীল দল এবং সরকারের কর্মকর্তাদের কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে এবং নিজেরাও লাভবান হচ্ছে।
আমরা যে বাজার পরিস্থিতি দেখতে পারছি, তা স্বাভাবিক না। অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মে এই বাজারে সংকট তৈরি হয়নি, এটাকে কৃত্রিম উপায়ে করা হয়েছে। এর পিছনে মূল দায়টা হচ্ছে সরকারের, এটা তাদের অদক্ষতার কারেণেই হোক বা সীমাবদ্ধতার কারণেই হোক অথবা তারাও এখান থেকে সুবিধা নেওয়ার কারণে হোকÑ এ সব বিষয়ে যথাযথ সময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, একটি সুশাসন গড়তে অনেক সময় লাগে কিন্তু তা ধ্বংস করতে বেশি সময় লাগে না। সরকারের সুশাসনের যাওয়ার আগ্রহ অনেক কম, তার প্রমাণ হচ্ছে দিন দিন দুর্নীতি বাড়ছে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সব জায়গায় দুর্নীতির বিস্তার চলছে। এটা একটা সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে, সবাইকে দুর্নীতির মাঝে চলতে হবে।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন