মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে অনিশ্চয়তা কাটাতে আলোচনায় ঢাকা-কলম্বো
তরিকুল ইসলাম : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরকালে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি(এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে এখনো কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় অনিশ্চয়তা কাটাতে নতুন করে আলোচনা শুরু করছে ঢাকা-কলম্বো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, শীর্ষবৈঠকে উভয় দেশ গত বছরই চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের বছরে আট কোটি ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। এফটিএ চুক্তি সম্পন্ন হলে দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। দ্বিপক্ষীয় শুল্ক ও শুল্কহীন বাধাও অপসারিত হবে। এতে বাংলাদেশ বেশি লাভবান হবে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য কলম্বো ছাড়াও ভুটান, তুরস্ক, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে।
মন্ত্রণালয়ের অপর এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার মতে, এফটিএ নিয়ে কলম্বোর সঙ্গে আলোচনা যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা কম, বরং বিদ্যমান অনিশ্চয়তা আরো প্রকট হবে। কারণ দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম এফটিএ স্বাক্ষরের দরকষাকষি আলোচনা চলছে ২০১৩ সাল থেকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এখন শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভুটানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে কক্সবাজারে দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।
সূত্র বলছে, ভুটান বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসলেও নতুন করে আরও ১৬টি পণ্যে সুবিধা চেয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ ভুটানকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবে দেশটি তাৎক্ষণিক সম্মতি দিয়েছে। বর্তমানে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৪ কোটি মার্কিন ডলারের মতো। বাংলাদেশ পোশাকসহ ১৯ ধরনের পণ্য রপ্তানি ভুটানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।পোশাক ও ওষুধ রপ্তানির ভালো বাজার হতে পারে দেশটি।