গণতন্ত্র উদ্ধারে যেকোনো সময় জনবিস্ফোরণ ঘটবে
বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর থেকে সরকার নিজেরাই বুঝে গেছে, তাদের জনসমর্থন শূন্যের কোটায় নেমে গেছে। আবার এই জনশূন্য জায়গা থেকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকারও স্বপ্নও তারা দেখছে। সুতরাং এই দুটি বিষয়কে মিলিয়ে গণবিচ্ছিন্ন কোনো রাজনৈতিক দল বা তাদের মিত্ররা মনে করে, যেকোনো দিক থেকে বিপদ আসলে সেটি তাদের জন্য যেকোনো দিক থেকে বিধ্বংসি হয়ে যেতে পারে, তখন তারা নানা রকমের পরিকল্পনা করে। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই সরকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার সকল মামলা বকশি বাজার অস্থায়ি আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনে আওয়ামী করণের চিত্র আবারও জনগনের সামনে ফুটে উঠেছে। এই দলীয়করণ অনাচরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিচারপতি এসকে সিনহা। তখন সারা দেশের মানুষ আশানি¦ত হয়েছিলেন। মানুষের মাঝে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার একটা আশা জেগেছিল। কিন্তু নানা কৌশল এবং নানারকম চতুরতার মধ্য দিয়ে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি আইন মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিয়েছে। যেটা বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ছিল না। সরকারের এরকম নানাবিধ অপকৌশলেরই একটা অংশ হচ্ছে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা। এবং সকল মামলা পুরান ঢাকার বকশি বাজারে অস্থায়ি আদালতে স্থানান্তরিত করা। যার মাধ্যমে সরকার রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে হেয় করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। কেননা, বেগম জিয়াকে বকশি বাজার যাওয়া আসায় ব্যস্ত রাখতে এবং দেশব্যাপি বিএনপির নেতা কর্মীদের দৃষ্টি একটা নির্দিষ্ট দিকে বদ্ধ করে রাখতেই সরকারের এই কৌশল। সেই সাথে বড় কথা হচ্ছে, বকসি বাজারকে সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পরিণত করেছে। সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়ে বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েই সরকারের নিয়ন্ত্রিত একটা জায়গার মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আবদ্ধ করতেই বেগম জিয়ার সকল মামলা বকশি বাজারে স্থানান্তর করেছে। কিন্তুসরকারের সকল অপকৌশল দেশের জনগন রুখে দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে। গণতন্ত্র উদ্ধারে যেকোনো সময় জনবিস্ফোরণ ঘটবে।
পরিচিতি : যুগ্ন মহাসচিব, বিএনপি
মতামত গ্রহন : লিয়ন মীর
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ