আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হতে পারে মিরপুর স্টেডিয়াম!
আক্তারুজ্জামান: ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ৭ মাস সব ধরণের খেলা বন্ধ ছিল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সে সময় মিরপুরের এ মাঠে সংস্কার কাজ করা হয়। আউট ফিল্ডের মাটি তুলে আবার নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। নতুন ঘাসও লাগানো হয় মাঠে। ফলে, দীর্ঘ সময় পর প্রাণ ফিরে পায় মিরপুর স্টেডিয়াম।
এরপরই এখানে টাইগারদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সিরিজ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে। এই সিরিজ শেষে, ঢাকা টেস্টের ম্যাচ রেফারি জিওফ ক্রো, মিরপুর স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডকে ‘খারাপ’ বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কে অবহিত করেন।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ১৪ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়। তারপর মিরপুরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে আর কোন ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। তবে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বেশ কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে।
বিপিএলের সদ্য সমাপ্ত পঞ্চম আসরে মিরপুরের বাজে উইকেট কঠোর সমালোচনার মধ্যে পড়ে। পিচ নিয়ে সমালোচনা করেন তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পিচ ও আউটফিল্ড নিয়ে তামিম ইকবালের ‘কঠোর’ ভাষার সমালোচনা পছন্দ করেনি। ফলে ইতোমধ্যে তামিমকে ৫ লাখ টাকা জরিমানাও গুণতে হয়েছে।
এদিকে আউটফিল্ড নিয়ে আইসিসির কাছ থেকে সতর্কতা সংকেত পেয়েছে বিসিবি। একথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই। বোর্ড সভাপতির ভাষ্যমতে, ‘পিচ নিয়ে কথা বলতেই পারে ক্রিকেটার কিন্তু আউটফিল্ড নিয়ে কেনো কথা বলবে, আমরা আউটফিল্ড নিয়ে ইতোমধ্যে সতর্কতা সংকেত পেয়েছি। সামনে ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঢাকার এই স্টেডিয়ামে খেলা বন্ধও হয়ে যেতে পারে ।
গতকাল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজের সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের পিচ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘পিচ বা আউটফিল্ড, মাঠ সংক্রান্ত সবকিছু নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সবসময় সতর্ক। বিষয়টি আমরা নিয়মিত তদারকি করি আমাদের আলাদা কমিটিই রয়েছে তারা রিপোর্ট দিয়ে থাকেন।
অন্যদিকে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস মনে করেন আইসিসির এই বার্তা তাদের নিয়মিত কাজের অংশ, ‘দেখুন কদিন আগেই মেলবোর্নের পিচ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, এটা আইসিসির নিয়মিত কাজের অংশ। এটা নিয়ে আমরা সতর্ক।’ তবে, বোঝাই যাচ্ছে, আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে বড় শঙ্কার মধ্যে রয়েছে মিরপুর স্টেডিয়াম। ক্রিকফ্রেঞ্জি