রানীশংকৈলের ঐতিহ্যবাহী রামরায় দিঘি বিলুপ্তির পথে
খুরশিদ আলম শাওন, রানীশংকৈল(ঠাঁকুরগাও) : ঠাঁকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত জেলার একমাত্র বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র দীর্ঘতম ও ঐতিহ্যবাহী রামরায় দিঘী অনেকটা বিলুপ্তির পথে। রামরায় দিঘী থেকে প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করলেও সংস্কারে নেই প্রশাসনের তেমন উদ্যোগ। এ নিয়ে হতাশ উপজেলাবাসী। সচেতন মহলের অভিযোগ সরকার এ দিঘী থেকে বছরের লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সামান্যতম নজর দিচ্ছে না। আরও দিঘী ইজারা দিয়ে ইজারাদার বিষাক্ত মুরগীর লিটার দিয়ে মাছ চাষ করছে। লিটারের দূগন্ধে প্রকৃতি প্রেমীরা মুখে কাপড় দিয়ে পুকুরটির চারপাশ কষ্ট করে ঘুরে দেখছেন। বঞ্চিত হচ্ছেন প্রাকৃতিক সুগন্ধি বাতাস থেকে। এ কারনে পুকুরটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মানুষ। এ দিঘীতে প্রতি বছরের শীতকালীন সময় হাজার হাজার অতিথি পাখি এসে এখানে আশ্রয় নেই। তারা দিঘীটির পানিটাকে ঘিরে ধরে খেলা করতে থাকে যা দেখার জন্য অনেক পাখি প্রেমীরা দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে। এ দিঘী বর্তমানে বিনোদন পার্ক এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে আসে । দিঘী ও লিচু গাছ ইজারা দিয়ে প্রতি বছরে ২০ লক্ষেরও অধিক টাকা জেলা ও উপজেলা প্রশাসন আয় করলেও অভিযোগ উঠেছে এ দিঘীর উন্নয়নের ক্ষেত্রে জেলা কিংবা উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ নেই। অথচ জেলার মধ্যে একটি মাত্র বিনোদন কিংবা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে একটি পরিবারের সবাই মিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আহরনের অন্যতম স্থান এ দিঘীটি।
গতকাল সোমবার দেখা যায়, দিঘীটির প্রবেশ পথের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত জিরাফের মুর্তি ২টি ভেঙ্গে ভুঙ্গে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ফটকের পাশেই শিশুদের শিশু পার্কের সামগ্রী গুলো খেলার অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে। সম্পাদনা: আবদুল্লাহ মজুমদার