স্বপ্ন দ্রষ্টার অসম্পূর্ণ কাজের বাস্তবায়ন চলছে ডেইজী সরওয়ার
নগরবাসীর স্বপ্ন দ্রষ্টা সদ্য প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজের বাস্তবায়ন চলছে। আকাশসম স্বপ্ন দেখিয়ে আমাদের মাঝ পথে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছেন। মেয়র আনিসুল হক কাজের মাধ্যমে রাজধানীর এযাবত কালের সর্বশ্রেষ্ঠ মেয়র হয়ে উঠেছিলেন। তার যাওয়ার কালে সাধারণ মানুষের শোকগাঁথা, অসীম ভালোবাসা প্রকাশ, সেটাই প্রমাণ করেছে। তিনি শুধু কাজেই সেরা ছিলেন না, কাছের মানুষেরা তার কাছ থেকে শিখেছেন আন্তরিকতা কাকে বলে। আনিসুল হক একজন অসাধারণ প্রতিভাবান এবং সাহসী মানুষ ছিলেন। সেই সাথে তিনি ছিলেন স্বপ্ন দেখার বাতিঘর এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তিনি ঝুঁকি নিতে জানতেন। যানজটে অতিষ্ঠ এবং নোংরা শহরে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া ঢাকাবাসীকে ছবির মতো নগরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নগর পিতা আনিসুল হক। তিনি অসিম সাহসিকতার সাথে নগর গঠনের যে কাজ শুরু করেছিলেন, মাঝ পথে এসে হঠাৎ চলে যাওয়ায় সকলের মতো আমাদের মাঝে ভীষণ শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে আনিসুল হকের শূন্যতার কারণে তার শুরু করা কাজ যেন থমকে না যায়। সেজন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রশাসনিক সব ধরনের কাজ আগের গতিতেই চলছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ফুটপাত মেরামত, সবুজ নগরায়নসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে সড়কবাতির কাজও চলছে। তবে বড় বড় প্রকল্পগুলো আনিসুল হকের অভাব বোধ করছে। কেননা, সেই কাজগুলো করার ক্ষেত্রে আইনগত কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। তাছাড়া আনিসুল হক এমন অনেক কাজ শুরু করেছিলেন যে, প্রকল্পগুলো আইনগতভাবে সিটি করপোরেশনের কাজের আওতায় পড়ে না। কিন্তু তিনি নিজ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কেননা, তিনি মনে করতেন- তিনি নগর পিতা, তার কাছে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। ঢাকা বাসীর দুর্ভোগ লাঘব করাটা তার দায়িত্ব। তাই তিনি সিটি কর্পোরেশনের কাজের সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়ে বলেছিলেন, ঢাকা শহরে ৪০ হাজার বাস নামবেই। সেই সাথে ঢাকা শহরের অসহনীয় যানজট নিরসনে জন্য ইউলুফ তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তার চলে যাওয়ার কারণে সেই প্রকল্পগুলো আমরা এগিয়ে নিতে পারছি না। আরও এগিয়ে নিতে পারছি না, খাল খননের কাজ এবং আমিন বাজারের ৪০ একর জায়গা দখলমুক্ত করনের কাজ। কেননা, প্যানেল মেয়রের কিছু সীমাবদ্ধকতা আছে। আমরা এখন নতুন মেয়রের অপেক্ষায় আছি। আশা করি, নির্বাচনের পরে সকল প্রতিবন্ধকতা কেটে যাবে।
পরিচিতি : প্যানেল মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি
মতামত গ্রহণ : লিয়ন মীর /সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ