চলচ্চিত্র শিল্পে ৪ বছরে সরকারের অবদান
আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)
সরকারের ৪ বছর হয়ে গেছে এই জানুয়ারীতে। সরকার এরই মাঝে কয়েকজন অসুস্থ চলচ্চিত্র শিল্পীকে সাহায্য করেছেন। অনুদানের ছবিতে অর্থ দান করেছেন। বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র সিটির কাজ অগ্রসর হয়েছে। এ সবই করেছেন সরকার আমাদের জন্য। আরো করতে পারতেন, সরকার তথা জননেত্রী শেখ হাসিনা। করতে পারলেন না অর্থমন্ত্রী আর তথ্য মন্ত্রীর অসহযোগিতার কারণে। আমি চাইলে আপা আমাকে অবশ্যই নমিনেশন দেবেন। টাকা দিয়ে নমিনেশন হয়, এই কথা আমি বিশ্বাস করি না। চিত্রনায়ক ফারুক বাংলাদেশের এত জনপ্রিয় একটা লোক যে মোটামুটি মানুষ চেনে। আমি সারা বাংলাদেশে মিটিং করে বেড়াচ্ছি বঙ্গবন্ধু কে, শেখ হাসিনা কে, ভোট কাকে দেবেন, নৌকাতে দেন। খালি টাকা হলে তো হয় না । আমার অধিকার আছে। আমি ইতিহাসটাকে নিয়ে চিৎকার করি। আমি আমার ঘর ছেড়ে কোথাও যাবো না। আমি আমার নেতার কথা বলবোই। আমি আমার নেতাকে এত শ্রদ্ধা করি। এর মাঝে যে বা যারা আসবে তারা আসবে আবার চলে যাবে। নেত্রী বলেছেন কিন্তু মন্ত্রণালয় করে না। দুই মন্ত্রীকে উনি বলেছেন তাড়াতাড়ি করেন। একজন মনে করেন টাকাটা কিভাবে দেই, এটা তো আমার টাকা। আরেকজন তো কিভাবে ঘাড়ে বসে মধু খাবে। স্বার্থের টানে প্রিয়জন কেন দূরে চলে সরে যায়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। আমলারাই দেশের ক্ষতি করবে। দেশ স্বাধীন করেছি, এটা আমাদের দোষ হতে পারে। আজকে মুক্তিযোদ্ধারা আর শ্রেষ্ঠ সন্তান শব্দটা শুনতে চায় না। প্রধানমন্ত্রী বলার পরেও অর্থমন্ত্রী আর তথ্যমন্ত্রীর জন্য কোনো কাজই এগোয় নি। শেখ হাসিনা এমন একজন মানুষ, তাকে দুর্নীতিবাজ বলতে পারবেন না। আমাদের নেতা যা বলবেন, আমরা তাই করবো। আপনি যেটা চান, আমরা সেটা সবাই চাই। আপনি এমন অবস্থানে আছেন যে আপনাকে হত্যা করার জন্য হাজার হাজার গুলি রেডি রাখে। আমরা তো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ। কয়েকদিন যাবত কি ঠান্ডা পড়েছে। এই মেয়র ইলেকশনটায়ও ঠান্ডা পড়ে গেছে। আনিসুল হক অনেক ভালো ভালো কাজ করে গেছেন।
উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রের অধীনে কয়েক জন এমপি আসবে। প্রতিটি এমপির সাথে তাকে কাজ করতে হবে। তার মনিটরিং ব্যাকআপ দেবেন গভর্নমেন্ট। প্রতিটি মানুষের কিছু প্রবলেম থাকতে পারে। আমার জানা মতে, আমাকে দেবে না। আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা আছে আমাকে ভয় পায়। কারণ, আমি সত্য কথা বলি। পার্লামেন্ট ইলেকশনে এবার আমি যাবো। আমি শেখ হাসিনাকে বলবো যে, আমি দেশের জন্য কাজ করতে চাই। আমাকে দলে রাখেন। দেখি নেত্রী কি বলেন।
পরিচিতি : চলচ্চিত্র অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ