সাক্ষাৎকারে জয়নাল আবেদিন ফারুক যে নামেই ডাকা হোক, নিরপেক্ষ কারও অধীনে নির্বাচন চাই
আহমেদ ইসমাম : সহায়ক সরকারের কথা আমরা বলেছি কিন্তু তার রূপরেখা এখনো দেওয়া হয়নি। রূপরেখা আমরা খুব তাড়াতাড়ি দিব, এটা নিয়ে আমাদের দল কাজ করছে। এটা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সেটা বড় বিষয় না। আমরা এমন একটা সরকারের কথা বলছি, যে সরকারের অধীনে সব দল সুন্দরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বিএনপি একটি নির্বাচনবান্ধব দল, আমরা সব সময় চাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে, এ জন্য দরকার সুন্দর একটি নির্বাচনী পরিবেশ। সাধারণ ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত না করে আমরা নির্বচনে অংশগ্রহণ করব না। আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার দ্বার খোলা রাখা উচিত, সরকারকে এ বিষয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে, যেহেতু তারা ক্ষমতায় আছে। আমরা নির্বাচন নিয়ে সরকারের সাথে যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছি। আলোচনার দ্বার আমাদের দিক থেকে সব সময় খোলা আছে। কিন্তু তারা যদি বাহুশক্তি বা সরকারি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা দ্বারা জোরপূর্বক বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায় তবে সে নির্বচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তারা হয়ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে কিন্তু ২০১৪ সালের মতোই মানহীন নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি। জনমনে একটা ভয় সৃষ্টি হয়ে গেছে, ভোট কেন্দ্রে গেলেই মারপিট, ভোট কেন্দ্র দখল, ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধাÑ এই পরিস্থিতিতে সরকারের অধীনে নির্বাচন করা সবার জন্যই কঠিন। বিশেষ করে গত নির্বাচনে কত ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছিল এবং গ্রহণযোগ্য হয়েছিল কি না, তা দেশবাসীসহ সারা বিশ্ব জানে। অতীতের নির্বাচনের যে অবস্থা তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সবকার নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে তারা কাল্পনিক ও সংবিধান বহির্ভূত বলছে, কিন্তু এক সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে ছিল তারাই সেটা পরিবর্তন করেছে। সংবিধান এমন কোনো জিনিস না যে, তা পরির্তন করা যাবে না। চাইলেই জনগণের স্বার্থে তা যে কোনো সময় পরিবর্তন করা যেতে পারে।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন