পুঁজিবাজারে দরপতনে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: মির্জ্জা আজিজ
মাসুদ মিয়া : দেশের পুঁজিবাজার দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। গতকাল বুধবারও প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এ নিয়ে উভয় বাজারে টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন হলো। মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি উভয় বাজারে লেনদেন হওয়ার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সিএসইতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। টানা দরপতনের আগে পুঁজিবাজারে টানা উত্থান দেখা দেয়। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ছয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকে বাজার। এ ছয় কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ১৫৯ পয়েন্ট। আর শেষ পাঁচ কার্যদিবসের দরপতনে সূচকটি কমেছে ১৪৬ পয়েন্ট। এদিকে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা উত্থানের কারণেই টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক ধর্ম। টানা উত্থানের কারণে শেয়ারের যে দাম বাড়বে, এরপর নিন্মমুখীতার মাধ্যমে সেই দামের কিছুটা সংশোধন হবে। এবিষয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ঠা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ প্রতিবেদকে বলেন, পুঁজিবাজারে এটা স্বাভাবিক দরপতন। বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছিু নেই। তিনি বলেন, টানা উত্থানের কারণে এ দরপতন হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে টানা উত্থান বা পতন কোনটাই পুঁজিবাজারের জন্য ভালো লক্ষণ না। মাঝে মধ্যে সূচক বাড়বে, আবার কমবে এটাই হলো পুঁজিবাজারের সাধারণ ধর্ম। মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, সামনে পুঁজিবাজার ভালো হবে। ঘাবরানোর কিছু নেই। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৯টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩৯ কোটি ৩০ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৪৭ কোটি ১২ টাকা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।