ট্রাম্পের কারণে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক
পার্সটুডে : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং পাকিস্তান-বিরোধী কঠোর অবস্থানের কারণে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তেহরান ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক। ইরান ও পাকিস্তান- দু দেশই আমেরিকার পক্ষ থেকে সৃষ্ট অভিন্ন হুমকির মুখে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যের কারণে আমরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কে মারাত্মক অবনতি দেখা দিয়েছে। তবে, গত ১ জানুয়ারি ট্রাম্প অত্যন্ত অবমাননাকর এক টুইটার পোস্ট দেয়ার পর ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক একেবার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ট্রাম্প ওই পোস্টে বলেছেন, “গত ১৫ বছর ধরে আমেরিকা বোকার মতো পাকিস্তানকে তিন হাজার তিনশ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে কিন্তু তারা মিথ্যা ও প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই দেয় নি; আমাদের নেতাদেরকে বোকা মনে করেছে। আমরা যেসব সন্ত্রাসীকে আফগানিস্তানে ধরার জন্য খুঁজি সে বিষয়ে পাকিস্তান সাহায্য করে না বরং তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় দেয় পাকিস্তান। আর সাহায্য দেয়া হবে না।”
এ ঘটনার পর পাকিস্তান মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং ট্রাম্পের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে। এছাড়া, গত ২১ আগস্ট আফগান নীতি ঘোষণার সময়ও ট্রাম্প পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। অন্যদিকে, গত নভেম্বর মাসে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ইরান সফর করেন এবং ঐতিহাসিক এ সফরের পর দু দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মোড় নিয়েছে। বাজওয়ার এ সফর ছিল ইরানে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর পাকিস্তানের কোনো সেনাপ্রধানের প্রথম সফর। এদিকে, গত রোববার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাসের খান জানজুয়া তেহরান সফর করেন এবং আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সফরের সময় তিনি ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জানজুয়া বলেছেন, ইরানের সঙ্গে পাকিস্তান নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করবে। তিনি মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ উসকে দেয়ার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ