নারীঘটিত ঘটনায় ২ চিকিৎসক নিয়ে বিব্রত বিএসএমএমইউ
রিকু আমির : সাম্প্রতিক দুটি নারীঘটিত ঘটনায় ২ চিকিৎসক সম্পর্কে অভিযোগ উঠায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। অভিযোগ উঠেছে বিএসএমএমইউ-এর ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক গাজী শামীম হাসান এবং চর্ম-যৌন বিভাগের কনসালটেন্ট রিয়াদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। তারা দুজনেই সরকার সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমানের নারীঘটিত ঘটনায় প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে গাজী শামীম হাসানের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, ভোলার একজন কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত সোমবার শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয় রিয়াদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। গতকাল বিএসএমএমইউ-এর ডেন্টাল অনুষদের প্রন্থডন্টিক্স ইউনিটে গিয়ে গাজী শামীমের কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ইউনিটের একজন চিকিৎসক জানান, মিজানুর রহমানের ঘটনা গণমাধ্যমে আসার পর গত তিনদিন ধরে হাসপাতালে আসেননি তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন শামীম। আর রিয়াদ সিদ্দিকীকে অনুপস্থিত পাওয়া গেছে গতকাল।
এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রো-ভিসির এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে বেশ অস্বস্তিবোধ করেন। তিনি বলেন, ডা. শামীমের ঘটনা যতটা লজ্জাজনক, তার চেয়েও বেশি লজ্জাজনক রিয়াদের ঘটনা। কেননা, এর মধ্যে রোগী সম্পৃক্ত। আর এই সংবাদ এমনভাবে গণমাধ্যমে প্রচার পেয়েছে, যার প্রভাবে এই হাসপাতালের চিকিৎসক তথা দেশের চিকিৎসক সম্পর্কে চরম নেতিবাচকতা প্রকাশ পেল।
ডা. শামীম প্রসঙ্গে ডেন্টাল অনুষদের একজন সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, এমন একজন সিনিয়র চিকিৎকের বিরুদ্ধে নারীঘটিত অভিযোগ উঠায় আমরা বেশ বিব্রত। চেম্বারে রোগীরা যখন আমাদের এ নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন লজ্জায় মাথা কাটা যায়।
বিনা অনুমতিতে কর্মক্ষেত্রে গাজী শামীমের অনুপস্থিতি এবং ডা. রিয়াদের বিষয়ে জানার জন্য গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের মোবাইলে কল দেওয়া হলে সাড়া পাওয়া যায়নি। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম