নারী কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে চায় না : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, বাংলাদেশের নারীরা মালয়েশিয়ায় গৃহকর্মী হিসেবে যেতে চায় না। কারণ, ওখানে গিয়ে তারা ভালো পয়সা পায় না। সব দেশগুলোর অভিজ্ঞতাও সমান নয়। আমরাতো কাউকে জোর করে কোথাও পাঠাতে পারি না। এ জন্য ইচ্ছাও থাকতে হয়। আমি দ্রুতই মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করব।
গতকাল নিজ দফতরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদারসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চলতি বছরে মালয়েশিয়া সরকার দেশটিতে গৃহকর্মী (নারী) নিয়োগে যে ৯ দেশকে বাছাই করেছে তার মধ্যে নেই বাংলাদেশ। ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ ৯টি দেশ থেকে নারী শ্রমিক নেবে দেশটি। এদের অনেকের সঙ্গে কুয়ালালামপুরের ডমেস্টিক এইড রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা সমঝোতায় যাচ্ছে দেশটির সরকার।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে যেসব কর্মী চলে আসে তাদের কোনো ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নেই। থাকবে কি করে? তারাতো আমাদের বলে আসে না। তাই স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ঠিক কতজন প্রবাসী কর্মী ফেরত এসেছে সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গত বছর বিদেশে কর্মী প্রেরণ ছিল সর্বোচ্চ। গত বছর কর্মসংস্থানের জন্য ১০ লাখ ৪ হাজার ১৬৩ জন কর্মী বিদেশ গমন করেছে। এর আগে ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী বিদেশ গমন করেছিল।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গত বছর সৌদি আরবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ, মালয়েশিয়ায় এক লাখ, ওমানে ৯০ হাজার এবং কাতারে ৮২ হাজার কর্মী পাঠিয়েছে। এরমধ্যে এক লাখ ২২ হাজার নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। সৌদি আরবে প্রায় ৮৩ হাজার, জর্ডানে ২০ হাজার এবং ওমানে প্রায় ৯ হাজার নারী কর্মী গমন করেছে। গত বছরে কর্মী প্রেরণ ২০১৬ সালের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি ছিল। সম্পাদনা : নূর মোহাম্মদ