পৃথিবীতে শান্তি আনবে ‘খেলা’
পরাগ মাঝি : ভারত-পাকিস্তানের কথাই ধরা যাক। শত্রুতা যুদ্ধের ময়দানেও নিয়ে গেছে এই দুই দেশকে। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে শান্তির সুবাতাস নিয়ে এসেছিলো ‘ক্রিকেট’। ব্যাটে বলের এই খেলাটি রণক্ষেত্র থেকে খেলার মাঠে নিয়ে আসে দু’দেশের ক্রিড়ামোদিদের।
১৯৭১ সালে চীন-মার্কিন সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়েছিলো পিংপং ডিপ্লোমেসি। এ সময় চীনের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের টেবিল টেনিস দল সফর করলে দেশ দুটির দীর্ঘ দিনের বৈরীতা কাটিয়ে সুসম্পর্কের সূচণা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র সমাজতান্ত্রিক চীনকে স্বীকৃতি প্রদান করে। ফলে চীন জাতিসংঘের সদদস্যপদ লাভ করে।
বলা হয়ে থাকে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক পর্যায়ে চারদিকে যখন বোমা আর গুলির আওয়াজে ভারি হয়েছিলো আকাশ। সেসময়ই ব্রিটিশ এবং জার্মান সেনারা গুলাগুলি বাদ দিয়ে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিলো ফ্রান্স-বেলজিয়াম সীমান্তে। খেলাটির আনন্দ ম্লান করে দিয়েছিলো যুদ্ধকে। শত্রু সেনাদের দিকে পানীয় ছুঁড়ে দিয়ে জার্মান সেনারা বলেছিলো- ‘চলে আসো, আসো আনন্দ করি।’
নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, পুরো পৃথিবীকেই বদলে দেওয়ার শক্তি রাখে ‘খেলা’। কিন্তু আসলেই কি তা সম্ভব? মঙ্গলবার এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজলেন সিএনএন উপস্থাপিকা বেকি এন্ডারসন। শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষ্যে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে আলোচনাকে কেন্দ্র করেই ‘কানেক্ট দ্য ওয়ার্ল্ড’ অনুষ্ঠানে কূটনীতিতে খেলার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন বেকি। আলোচনায় বেকির অতিথি ছিলেন স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ’র সিনিয়র লেকচারার সিমন রোফ।
পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার শক্তি খেলা রাখে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সিমন রোফও জানান, বৈরী পরিবেশে খেলা কূটনীতিতে মুক্ষম অস্ত্র।
তাই এ অস্ত্র দিয়েই সারা বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন বেকি। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য কাতার বিশ্বকাপও উপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ন অনুষঙ্গ হয়ে উঠতে পারে। সিএনএন অবলম্বণে