ওজনে কম দেয়ার ভয়বহ পরিণতি
মুফতি সাখাওয়াত রুমি
আসহাবে মাদাইয়ুন বা মাদাইয়ুন গোষ্ঠি। তাদের কাছে পাঠানো হলো হজরত শোয়াইব (আ.)কে। হজরত শোয়াইব (আ.) সর্বপ্রথম তাদের তাওহিদের দাওয়াত দিলেন। বললেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করো, যিনি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই।’ (সুরা আরাফ : ৮৫)। তাওহিদের দাওয়াত দেয়ার পরপরই হজরত শোয়াইব (আ.) তাদেরকে তাদের কুকর্ম ওজনে কম দেয়ার হীন মানসিকতাকে দূর করার দাওয়াত দিলেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা পরিমাপে ও ওজনে কম দিও না। আজ আমি তোমাদের ভালো অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু আমি তোমাদের ব্যাপারে পরিবেশ নষ্টকারী দ্বীনের আজাবের ভয় পাচ্ছি। হে আমার কওম! ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে ওজন পূর্ণরূপে করো। লোকদের জিনিসপত্রে কোনোরূপ ক্ষতি করো না। আর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।’ (সুরা আরাফ : ৮৪-৮৫)। ‘মানুষের জিনিসপত্রে কোনোরূপ ক্ষতি করো না।’ এ কথা থেকে বোঝা যায়, ওজনে কম দেয়া যেমন হারাম, তেমনি হারাম অপরের অধিকারে হসত্মক্ষপ করা। হজরত শোয়াইব (আ.) তাদের আরও উপদেশ দিলেন, মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করে তাদের সম্পদ গ্রহণ করার জন্য রাসত্মাঘাটে ওৎপেতে বসে থেকো না। কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা পথেঘাটে এই উদ্দেশ্যে বসে থেকো না যে, আল্লাহ তায়ালার বিশ্বাসীদের হুমকি দেবে, আল্লাহ তায়ালার পথে বাধা সৃষ্টি করবে এবং তাতে বক্রতা অনুসন্ধান করবে। স্মরণ করো যখন তোমরা সংখ্যায় ছিলে কম, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের অধিক করেছেন এবং লক্ষ্য করো কিরূপ অশুভ পরিণতি হয়েছে ফিতনাকারীদের।’ (সূরা আরাফ, আয়াত নং : ৮৫)। আয়াতের শেষাংশে তাদের ভীতি প্রদর্শন করার জন্য বলা হয়েছে- পূর্ববর্তী ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী কওমের করুণ পরিণতির দিকে লক্ষ্য করো, কওমে নূহ, আদ, সামুদ ও কওমে লুতের ওপর কী ভীষণ গজব নাজিল হয়েছিল। তাই তোমরা এ ধরনের আজাব আসার আগেই সতর্ক হয়ে যাও। লেখক: প্রবন্ধিক ও অনুবাদক