শীতে জনজীবন নাকাল হলেও উত্তাপ কাঁচাবাজারে
স্বপ্না চক্রবর্তী : আকাশচুম্বী দাম মাঝে কমলেও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে যেন উত্তাপ বেড়েছে কাঁচাবাজারে। দীর্ঘদিন চড়া দামে সবজি বিক্রি হলেও বছরের শুরুতেই কমতে শুরু করে। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আবার ক্রেতাদের কাছ থেকে উচ্চ মূল্য আদায় করছেন বিক্রেতারা। গতকাল রাজধানীর কাওরানবাজার, শান্তিনগর কাঁচাবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, মিরপুর, ফার্মগেইট, খিলগাঁও তালতলা বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে দেখা যায় গত ১সপ্তাহে সবজিভেদে প্রতিটিতে ১০টাকা থেকে শুরু করে ৩০টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়াকে দাম বাড়ার অন্যতম কারণ বলে দাবী করছেন বিক্রেতারা। বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন সবজি আলুর দাম ২০টাকা থেকে বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ থেকে ২৮টাকায়। কেউ কেউ আবার নতুন আলু বলে ৩০ থেকে ৩২টাকাও আদায় করছেন। এছাড়া, প্রতি কেজি বেগুনের দাম ৩০টাকা থেকে বেড়ে একলাফে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০টাকায়। কোনো কোনো জায়গায় যা ৫৫বা ৬০ টাকায়ও বিক্রি করতে দেখা গেছে। কাঁচাবাজারের অন্যান্য সবজিগুলোর মধ্যে, সিম ৩০টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০টাকা, পেঁপে ২০টাকা থেকে ২৫টাকা, মুলা ১৫টাকা থেকে ২০টাকা, কাঁচামরিচ ৬০টাকা থেকে ৮০টাকা, দেশি টমেটো ৩৫টাকা থেকে বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা। তবে দামের খুব একটা তারতম্য দেখা যায়নি আমদানী করা টমেটোর। আমদানি করা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০টাকায়, গাজর ৪০টাকায়, শসা ৪০টাকা, চিচিঙ্গা ৪০টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০থেকে ২৫টাকা পিস দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক স্বাভাবিকের মতো ১৫টাকা দরেই বিক্রি করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, ঠান্ডা তরকারি হিসেবে পরিচিত লাউ’র দামও বেশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পিস বিক্রি হওয়া লাউ’র দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। সবজির বাজারে হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতারা। মগবাজারের বাজার গলিতে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মাহফুজুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শীতের দিনেও যদি স্বল্পমূল্যে সবজি কিনতে না পারি তাহলে কবে খাবো। তবে প্রচন্ড শীতে সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কাওরানবাজারের কাঁচামাল সরবরাহকারী রহমত উল্লাহ।