জয়পুরহাটে পোল্ট্রি শিল্প বেকারত্ব দূর করেছে যুবকদের
জিয়াউদ্দিন রাজু : পোল্ট্রি শিল্প জয়পুরহাটে বেকার যুব সমাজকে আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছে। বেকার যুবকরা ব্যাপক ভাবে জড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়ভাবে এ শিল্পের ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার কর্মসংস্থান। বেকার যুবকরা শিল্পে জড়িয়ে পড়ায় জয়পুরহাটে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে পোল্ট্রি খামার। গড়ে উঠেছে হ্যাচারী ও ফিড মিল।
জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, জেলার পাঁচ উপজেলায় আড়াই হাজার রেজিস্টার খামারসহ জেলায় ১০ হাজার ৫শ’টি ছোট-বড় পোল্ট্রি খামার রয়েছে । এর মধ্যে মাংস উৎপাদনের জন্য ১০ হাজার ১৩০টি খামার ও ডিম উৎপাদনের জন্য ৩৭০ টি সোনালী লেয়ার খামার রয়েছে। মুরগীর বাচ্চা উৎপাদনের জন্য রয়েছে ৪৫টি ছোট বড় হ্যাচারী। ছোট বড় হিসেবে একেকটি খামারে ২ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার পর্যন্ত মুরগি পালন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে সোনালী জাতের মুরগি জেলায় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। একটি খামারে বছরে চার ব্যাচ করে এই মুরগি পালন করা হয়।
জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সহ-সভাপতি ও কিষাণ পোল্ট্রি হ্যাচারি অ্যান্ড ফিড প্রাঃ লিমিটেড এর মালিক জিয়াউল হক জিয়া জানান, পোল্ট্রি শিল্পে প্রতিষ্ঠিত জয়পুরহাট জেলায় ছোট-বড় প্রায় দশ হাজার খামার, ৩৯টি হ্যাচারি শিল্প এবং ১১টি ফিড মিল গড়ে ওঠেছে। পোল্ট্রি শিল্পকে ঘিরে জেলার গ্রামে-গঞ্জে গড়ে ওঠেছে খাদ্য ও ওষুদের দোকান। এতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর জেলায় ৭ হাজার বেকার যুবকদের পোল্ট্রি বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। জয়পুরহাটের পোল্ট্রি শিল্পে সরাসরি আড়াই থেকে তিন লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে নারী রয়েছেন ৬০ হাজার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ৫/৬ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল।