জনগণের সেবায় পুলিশকে সকল শক্তি প্রয়োগ করতে হবে : নূরুল আনোয়ার
গাজী খায়রুল আলম : বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৪ হাজার পুলিশ বাহিনী নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এটি স্বাধীনতা উত্তর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মোটেও যথেষ্ঠ ছিল না। তখন তিনি খুব দ্রুত পুলিশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করেন। প্রায় সাড়ে ৪ শত সাব ইন্সপেক্টর অব পুলিশ নিয়োগ করেন। বিসিএস ক্যাডার থেকে ১৪৭ জন অফিসার নিয়োগ দেন। পুলিশের প্রশিক্ষণের জন্য চারটি নতুন ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন করেন। কারণ, পুলিশ একাডেমির মাধ্যমে এতো লোককে এক সাথে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এছাড়া প্রায় দশ হাজার পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ দেন। এর কারণ ছিল আইশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখা। স্বাধীনতার পরে মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য চারদিক মুভ করতে ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে যাচ্ছিল। সময় সাপেক্ষে বিভিন্ন সরকার পুলিশকে আরও উন্নত করেছে। তবে বর্তমান সরকার পুলিশকে যেভাবে উন্নত করেছে, তার আগের চল্লিশ বছরেও এতটুকু উন্নত হয়নি। পুলিশকে আলাদা আলাদা ভাগও করা হয়েছে। শিল্প কারখানার জন্য শিল্পাঞ্চল পুলিশ। নৌ পথের জন্য নৌ-পুলিশ। আমাদের টুরিস্ট স্পটে বহু টুরিস্ট আসে, সেখানকার জন্য টুরিস্ট পুলিশ। ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল প্রোটেকশন ব্যাটালিয়ন তৈরি করা হয়েছে। আরও একটি দিক হচ্ছে, সিআইডির মতো আরও একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন, যেটি হচ্ছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। তারা দেশের জন্য অনেক ভালো কাজ করছেন। আরও একটি হচ্ছে, এন্টি টেররিজম ইউনিট। যেটি আমাদের সময়ের দাবি ছিল। আগের সাধারণ পুলিশরা এই কাজটি করত। কিন্তু বর্তমান সরকার স্পেশালভাবে এটি তৈরি করেছে। এছাড়া আমাদের দেশে র্যাব চালু আছে। পুলিশের আরও একটি ভালো দিক হচ্ছে, নারীদের সুবিধার্থে দশ শতাংশ নারী পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশে নারীদের প্রথম নিয়োগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি প্রথম সরাসরি নারী সাব ইন্সপ্যাক্টর নিয়োগ দেন। সব মিলিয়ে বর্তমান পুলিশ একটি শক্তিশালী অবস্থানে আছে। জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য এখনকার মতো আমাদের শক্তি ছিল না। পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণের সেবার জন্য সব ধরনের শক্তি ব্যবহার করতে হবে। কোনো সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। জনগণের সেবার জন্য পুলিশ। জনগণ যেন তাদের সকল সুবিধা সঠিকভাবে পায় এটি পুলিশকে দেখতে হবে।
পরিচিতি : সাবেক আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ