ইন্টারনেটের দাম কমানো আমার নৈতিক দায়িত্ব Ñমোস্তাফা জব্বার
আনোয়ার হোসেন : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সকলকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার জন্য এর দাম কমানো আমার নৈতিক দায়িত্ব। গতকাল শুক্রবার আগারগাঁওয়ে বিসিসি অডিটোরিয়ামে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এগিয়ে যাওয়ার আরো চার বছর’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী গতির ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার জন্য কাজ করছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আমরা প্রতিটি বাসাবাড়িতে ১ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর এটা সম্ভব হলে ২০৪১ সাল নাগাদ সবার ঘরে ঘরে ১ জিবিপিএস গতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। আর তখন দেশ কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে উন্নীত হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৬ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে যেকোনো সময়ে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য যে সড়ক তৈরি করবো, এটা ইট-কাঠ-কংক্রিট দিয়ে তৈরি নয়; এটা ইন্টারনেটের মহাসড়ক। এই মহাসড়ক তৈরি করা আমাদের মন্ত্রণালয়ের বিরাট চ্যালেঞ্জ।
মন্ত্রী ইন্টারনেটে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দাম কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা ইন্টারনেট বিক্রির সময় মুনাফা করবেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন গ্রাহকদের যেনো ‘গলা কাটা’ না যায়। ইন্টারনেটে শিশু-শিশুরদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক মূল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে জানান, লার্নিং আর্নিং প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ নেওয়া তরুণরা এখন পর্যন্ত ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। মানবসম্পদ উন্নয়নের আওতায় ২০২১ সালে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। কানেকটিভিটির জন্য তখন ইন্টারনেট, ই-গভর্ন্যান্সের আওতায় ৯০ ভাগ সেবা প্রদান করা হবে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম