এদের দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত
আওয়ামী লীগের সাংসদ সাইমুম সারোয়ারের হাতে স্থানীয় এক প্রবীণ শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার শর্মা সাংসদ সাইমুম সারোয়ারের শিক্ষক ছিলেন । গত রোববার দুপুরে উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকায় জনসমক্ষে এ ঘটনা ঘটে। যদি ঘটনা প্রকৃতপক্ষে সত্যি হয়ে থাকে, তবে তা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ বলে আমি মনে করি। এবং এ ধরনের আচরণ একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে যেমন অশোভন, তেমনি তার দলের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। দল কখনো কোনো ব্যক্তির অপরাধ মূলক বা বেআইনি আচরণের দায় গ্রহণ করবে না।
এটা অত্যন্ত অন্যায় যে, একজন ছাত্র তার শিক্ষকের ওপর হাত তুলবে। তাকে গলা ধাক্কা দেবে। সাংসদ সাইমুম এ সময় বলেন, ‘তোর ছেলে সুজন আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তাকে সাবধান করে দিস। নইলে গায়েব করে ফেলবো।’ তখন শিক্ষক সুনীল কুমার সাংসদ সাইমুমের কাছে জানতে চান, তাকে ‘তুই-তোকারি’ করার কারণ কি? তিনি যে তার শিক্ষক তাও স্মরণ করিয়ে দেন। এ কথায় উত্তেজিত হয়ে সাইমুম প্রধান শিক্ষককে গলায় ধাক্কা মেরে বলেন, ‘তোর ছেলেকে সাবধান করবি। নইলে খবর আছে।’ এই হল পুরো ঘটনা। জনসমক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আমি মনে করি, বিষয়টি দল এবং জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলাকালীন উত্থাপন করা হবে। এবং যদি ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত রোববার সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেন বলেছেন, সরকার তার পক্ষে আছে। দরকার হলে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেয়া হবে ছাত্র-ডাক্তারদের। কোনোদিনই কোনো সরকার তাকে আইন হাতে তুলে নেয়ার কথা বলবে না। এটা অত্যন্ত বেআইনি কথা। মকবুল উত্তেজনাবশত কথাগুলো বলে থাকেন, তার দায়ভার দল বহন করবে না। এই ধরনের লোকদের আচরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওপর থেকে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস কমছে। এদের দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।
পরিচিতি : সাবেক সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, আওয়ামী লীগ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ