প্রত্যেক দলই নিজেদের দলের কর্তৃত্ব কিভাবে ধরে রাখবে সেটা দেখছে : অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ফজলুল হক
বায়েজিদ হাসান : সরকার বলছে, জঙ্গি তৎপরতা কম। কিন্তু এখনো তো সরকার প্রতি মাসে দুই একটা জঙ্গি ধরছে। কাজেই পুলিশ, র্যাব, বিজিবি কাজ করছে সেকারনে দমনও আছে। দমন থাকা মানে বন্ধ হয়ে যাওয়া না। গায়ে ঘাঁ হয়েছে, এখন মলম দিয়ে ঘাঁটা কোনো মতে দাবিয়ে রাখা। তার মানে ঘাঁটা ভালো হয়ে যাচ্ছে না। সমাজের ভিতরে এখনও এটা রয়ে গেছে। কেন এই ঘটনা ঘটছে? তার রাজনৈতিক কারণ সত্যতার সঙ্গে কোনো দলই দেখছে না। সরকারও দেখছে না। প্রত্যেক দলই তাদের নিজেদের দলের কর্তৃত্ব কিভাবে ধরে রাখবে সেটা দেখছে। সর্বোপরি সমস্যার সমাধানের চিন্তা কেউই করছে না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন ।
তিনি আরও বলেন, বাহিরের দেশের শক্তি আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ন্যাটো তারাও তাদের কর্তৃত্বের জন্য ব্যবহার করছে জঙ্গিদের। সমস্যার সমাধান তাদের কাছে বড় না। তারা সমস্যার সমাধান চায় না। সবচাইতে বেশি চায়, নিজেদের কর্তৃত্ব। এবং গোটা মানবজাতি আজকে নৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল। মানুষের নৈতিক চেতনা দুর্বল সে কারণে এগুলোর প্রতিবাদ করছে না। মধ্যপ্রাচ্যর রাষ্ট্রগুলোতে আজকে আমেরিকান বাহিনী আছে। ব্রিটেন বাহিনী আছে। ন্যাটো বাহিনী আছে। সামরাজ্যবাদের স্বার্থে আন্তর্জাতিক শান্তি বাহিনী আছে। এটা বহাল রেখে তো জঙ্গিবাদ বন্ধ হবে না। যতদিন মধ্যপ্রাচ্য বিদেশী সৈন্য আছে, গণহত্যা আছে, মানুষের উপরে নির্যাতন আছে ততদিন তো তালেবান, আলকায়েদা আর আইএস জাতীয় সংগঠন আত্মপ্রকাশ করবেই। তারা তো কম লোককে মারছে না। মধ্যপ্রাচ্যে বছরে প্রায় এক লাখ লোক মরছে। এই যে মারছে, তো তাতে কি নির্মূল হচ্ছে? মারছে, মরছে কিন্তু নতুন আবার তৈরি হচ্ছে। অন্যায় যখন থাকে তখন এগুলো তৈরি হয়। অন্যায়ের প্রতিবাদে আবার নতুন অন্যায় দেখা দেয়। অন্যায় প্রতিবাদে যে ন্যায় সেটা নৈতিক চেতনার উন্নত হলে দেখা দেয়।
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন