উপকূলীয়দের চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দিচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-ফ্রন্ডশীপ
মোরশেদ মুকুল : উপকূলীয়দের চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে ফ্রেন্ডশীপ। এ লক্ষে চলতি বছরও ৪ শত লোকের চোখের ছানি পড়া উপকূলীয়দের চোখের সার্জারি করবে তারা। তাতে অর্থায়ন করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যাংকটিও ফ্রেন্ডশীপের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, স্টান্ডার্ড ব্যাংকের সিও নাসের এজাজ বিজয়, ফ্রেন্ডশীপ এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ফ্রেন্ডশীপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান।
ফ্রেন্ডশীপের নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, এই প্রকল্পের অধীনে ফ্রেন্ডশীপ আগামী এক বছরে ৪ শত রোগীর ছানি অপারেশন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫টি ক্যাম্প স্থাপন করবে ফ্রেন্ডশীপ। লাইফবয় ফ্রেন্ডশীপ ভাসমান হাসপাতাল, আমিরাত ফ্রেন্ডশীপ ভাসমান হাসপাতাল ও সর্বশেষ সংযোযিত রঙধনু ফ্রেন্ডশীপ ভাসমান হাসপাতালের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তারা এ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। রুনা খান বলেন, এবার ৪ শত ছানি অপারেশন করতে যাচ্ছে তারা রংধনু ফ্রেন্ডশীপ ভাসমান হাসপাতাল থেকে। ২০১৩ সালে অপারেশন শুরু করার পরে রংধনু ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল ১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ এরও বেশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে। তিনি জানান, আগামীতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে তাদের বহরে আরো পাঁচটি জাহাজ যুক্ত হচ্ছে। সেই জন্য ইতোমধ্যে এডিবি ও সরকারের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিও নাসের এজাজ বিজয় জানান, এ বছর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড তার ‘সিয়িং ইজ বিলিভিং’ প্রকল্পের ১৫ তম বছর উৎযাপন করছে। যা ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে ৩৬টি দেশে ১৫০ মিলিয়ন লোককে সাহায্য করেছে।