আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে রোহিঙ্গা হত্যার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ জরুরি
প্রিন্স মাহামুদ আজিম : মিয়ানমারের রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে আমাদের আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এখানে আইনি লড়াইয়ের কৌশলগত দিকগুলো আমাদের অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আদালতে যাবার জন্য আমাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা আবশ্যক। তবে একই সাথে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক তৎপরতাও চালাতে হবে। এই বিষয়ে আইসিসির প্রসিকিউশন থেকে আমরা এখনো কোনো অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট পাইনি। টিভিএনএ’র সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ।
তিনি বলেন, মিয়ানমার এখনো রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর দেয়নি। যেহেতু তারা এখনো রোম সংবিধি গ্রহণ করেনি সেক্ষেত্রে আইসিসির প্রসিকিউশন যদি স্ব-প্রণোদিত হয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তদন্ত অথবা তার ব্যাপারে মামলা করে তবে আইসিসির বিচার ব্যবস্থা মিয়ানমারকে মেনে নিতে হবে। আমাদের দেশে যে শরণার্থীরা রয়েছে তারা যদি না থাকে তাহলে প্রমাণাদিগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যাবে। সুতরাং আমাদের সরকারি এবং বেসরকারি উভয়ভাবেই আন্তর্জাতিক কূটনীতিক তৎপরতাও চালাতে হবে। আবার একই সাথে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজটাও চালিয়ে যেতে হবে।
তুরিন আফরোজ বলেন, বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আমরা শরণার্থীদের গণহত্যার মুখে ঠেলে দিবো না। বাংলাদেশ এই দায়িত্ব জেনে-বুঝে নিয়েছে। একাত্তরে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের নির্যাতনের মুখে আমাদের ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিলো। সুতরাং সেদিক থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিক। প্রতিবেশি দেশগুলো প্রতিবেশিদের সহযোগিতা করবে এটাই সবার প্রত্যাশায় থাকে।