মসজিদ পরিচিতি মনিরুল ইসলাম
সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ কুয়ালালামপুর, মালয়শিয়া। মালয়শিয়ার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর অন্যতম একটি মসজিদ “মসজিদ জামেক” যা ¯’ানীযরা মসজিদ জা’মে নামেই ডাকে। রাজধানী কুয়ালালামপুরে অব¯ি’ত এ মসজিদটি ¯’ানীয় কাং এবং গোম্বাক নদীর মিলিত মোহনায় অব¯ি’ত। যদিও বর্তমানে নদীর শেষ চিহৃটুকুও বুঝার উপায় নেই যে, কোন কালে কখনো এখানে নদী ছিল । বর্তমানে আধুনিক সব ডিজাইন আর নান্দনিক শিল্প দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে মসজিদের চারপাশ। এটি ১৯০৭ সালে ইসলামী মোঘল ¯’াপত্যরীতি ও মালয়শিয়ার ঐতিহ্য রেখে আর্থার বেনিনস হাবব্যাকের ডিজাইনে তৈরী করা হয় । এবং ১৯০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। তবে ১৯৬৫ সালে জাতীয় মসজিদ নির্মাণের আগে এটিই কুয়ালালামপুরের প্রধান মসজিদ ছিল।
মসজিদটিতে সামনের দিকে দুটি মিনার ও মূল ভবনে তিনটি গম্বুজ রয়েছে । মাঝের গম্বুজটি ৭০ ফুট ও মিনার দুটি ৮৮ ফুট উ”চতা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। মিনার দুটিতেও রয়েছে ছাতাকৃতির গম্বুজ । বর্তমানে মুসল্লী সংকুলান না হওয়ায় মূল মসজিদের দুপাশে দুটি ভবন নির্মান করা হয়েছে। এবং মূল ফটকের সামনের অংশে ছাতাকৃতির কয়েকটি দর্শনীয় ¯’াপনা তৈরী করা হয়েছে ।
এককালের নদী দুটোকে আধুনিক লেক বানিয়ে পানির ফোয়ারায় রুপান্তিরত করে রং বেরংয়ের বাতি লাগিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে । মসজিদের মূল অংশ ঠিক রেখে চারপাশ আধুনিক ডিজাইন আর দামী পাথর দিয়ে নান্দনিক ও আকর্ষণীয় করে তুলা হয়েছে । তার সাথে তৈরী করা হয়েছে চমৎকার একটি ব্রীজ । যা মসজিদের পশ্চিম পাশের মারদাকা মাঠের (জাতিয় মাঠ) সাথে যুক্ত করা হয়েছে ।
প্রাথমিক তথ্য-
নাম: সুলতান আব্দুল সামাদ জেমক মসজিদ
অব¯’ান: কুয়ালালামপুর, মালয়শিয়া
নির্মাণ: ১০০৭-১৯০৯
¯’াপত্য শৈলী: ইসলামী ও মুঘল ¯’াপত্য
ধারণ মতা: ৩০০০
গম্বুজ: তিনটি । মিনার: দুটি
বর্তমানে মসজিদটি কুয়ালালামপুর ইসলামী কাউন্সিল পরিচালনা করে আসছে। লেখক: মালয়েশিয়া প্রবাসী
লেখক : মালয়েশিয়া প্রবাসী