১৩ জেলা রেজিস্ট্রি ও ৯৮ সাব রেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : ১৩ জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও ৯৮টি সাব রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে আইনমন্ত্রনালয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ (২য় পর্যায়) শীর্ষক এ প্রকল্পটির জন্যে সরকারের ৪৫৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে আইনমন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে।
আইন মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এই প্রকল্পটি সরকারের একটি মাইল ফলক প্রকল্প। এতে জেলা রেজিস্ট্রি অফিস এবং সাব রেজিস্ট্রি অফিসসমূহকে ভৌত অবকাঠামো সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যেই নির্মিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ (২য় পর্যায়) শীর্ষক একটি প্রকল্পটিতে ১৩ জেলা রেজিষ্ট্রী অফিস এবং ৯৮ টি সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস নির্মাণ করা হবে। এ জন্য সরকারের ৪৫৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এছাড়াও জানা যায়, সরকারের সদিচ্ছায় আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান কল্পে “আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণীত হয়। এই আইনের সফল বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি আইনি সেবা প্রদানের বিষয়ে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৮ এপ্রিলকে ‘জাতীয় আইগত সহায়তা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে গতিশীল ও সেবাবান্ধব করার লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার আওতায় প্রত্যেক জেলায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপনসহ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, চৌকি আদালত এবং শ্রম আদালতে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসসমূহে একজন করে সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজ পদমর্যাদার অফিসারকে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্ণার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকারি আইনি সেবা প্রদান আরও বিস্তৃত ও সহজ করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে টোল ফ্রি জাতীয় হেল্পলাইন ১৬৪৩০ চালু করা হয়েছে। এই হেল্প লাইনের মাধ্যমে দেশের যে কোন প্রাপ্ত থেকে যে কেউ বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ ও সহায়তা নিতে পারছেন।