বিদেশি বিনিয়োগ নেই ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
ফয়সাল মেহেদী : ব্যাংকবহির্ভূত ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কোনো বিনিয়োগ নেই। শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারে বিগত একবছরে কোনো বিনিয়োগ করেননি তারা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য মিলেছে।
শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে সাধারণত উদ্যোক্তা/পরিচালক, সরকার, প্রতিষ্ঠান, বিদেশী এবং সাধারণ -এই পাঁচ শ্রেনীর বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে থাকেন। প্রতি একমাস পরপর শ্রেনীগুলোর শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা গত একবছরে ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো বিনিয়োগ করেননি বা শেয়
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে মোট ২৩টি কোম্পানি রয়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য মতে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেড, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড -এই ৯ প্রতিষ্ঠানে কোনো বিনিয়োগ করেননি বিদেশী বিনিয়োগকারীরা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশীরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো বিনিয়োগ করেননি। এর আগের সমাপ্ত হিসাব বছরেও (২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ডিসেম্বর ক্লোজিং হওয়া এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারে কোনো বিনিয়োগ করেনি তারা।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এ দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অনেক বিচার-বিশ্লেষন করে। সার্বিক অবস্থা যাছাই-বাছাই করে ভালো এবং নিরাপদ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে তারা। তিনি বলেন, আর্থিক খাতের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থাই ভালো না। মুনাফাও করতে পারছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। এ খাতের খেলাপি ঋণও বাড়ছে। মনে হচ্ছে, কোনো কারণে নিরাপদ মনে না করায় ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে আসছে না বিদেশীরা।