নৌযান জরিপকারীদের থাকছে না বাড়তি সুবিধা, বাড়ছে জরিমানা
তরিকুল ইসলাম সুমন : নৌযানের সার্ভে বা জরিপ করার জন্য জরিপকারীদের যাতায়াত খরচ মালিক পক্ষকে বহন করার বিধানটি বাতিল করার পাশাপাশি জরিমানা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল আইন ২০১৭-এর খসড়ার সংশোধনীতে এ সুপারিশ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী কোনো নৌযানের সার্ভে বা জরিপ করার জন্য নৌযানের মালিকদের নির্ধারিত হারে সরকারি ফি জমা দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হয়। এর পরেই জাহাজ যে জায়গায় থাকবে সেই জায়গায় জরিপকারীদের নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জরিপকারীদের যাতায়াত খরচ থেকে শুরু করে সকল খরচ মালিক পক্ষকেই বহন করতে হয়।
একাধিক জাহাজ মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনের এ বিধানটি সংশোধন করা প্রয়োজন। তা না হলে জাহাজ জরিপের ক্ষেত্রে তাদেরকে একজন জরিপকারীকে বিমানে আনা নেওয়া ও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। দিতে হয় সরকারি ফি। এর পরেও জরিপকারীদের খুশির বিষয় থাকে। এতে অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
নৌযানের জরিপ বা সার্ভে সনদ জারিকারী সংস্থা নৌ পরিবহণ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ও জরিপকারক (চলতি দায়িত্ব) এসএম নাজমুল হক জানান, নৌযান সার্ভে করার জন্য জরিপকারীদের যাতায়াত খরচ মালিক পক্ষকে বহন করার বিধান আইনেই রয়েছে। আর এটি শুধু আমাদের দেশে নয়, পৃথিবীর অন্য দেশেও রয়েছে। একটি জাহাজ যদি কক্সবাজার থাকে, এটি সার্ভে করানোর জন্য ঢাকায় বা খুলনাসহ সার্ভে এলাকায় নিয়ে আসতে হবে। এতে মালিকদের অনেক বেশি খরচ হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে একজন জরিপকারী নিজ খরচে কক্সবাজার যাবেন না। এজন্য সরকারি কোনো খরচও বরাদ্দ নেই। এ কারণে আইনানুযায়ীই সার্ভের জন্য জরিপকারীদের যাতায়াত খরচ বহন করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন শাখা থেকে জাহাজ জরিপকারীদের যাতায়াত খরচ বহনের বিধানটি যেন বাতিল করা না হয় সেজন্য তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাবেন। এটি বন্ধ হলে জাহাজ জরিপ বা সার্ভে করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে।
অপরদিকে সার্ভে সনদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে প্রতিদিনের জন্য ১শ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার বিধান রয়েছে আইনে। কিন্তু এ জরিমানা বাড়ানো হলে মালিকরা ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখেই দ্রুত জাহাজ জরিপ করাবে। ফলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চেšধুরী