যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিরক্ষা নীতি ঘোষণা
আনন্দ মোস্তফা ও মরিয়ম চম্পা : আল কায়েদা, আইএসের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোকে পাশে সরিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর দিকে নজর দিয়ে নতুন প্রতিরক্ষানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশলপত্র প্রকাশের পর ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চীন-রাশিয়ার মতো অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে ম্যাটিস বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ করলে সেদিনই হবে আপনাদের দীর্ঘতম ও খারাপ দিন।’
নতুন সামরিক নীতি ঘোষণার পর জেনারেল ম্যাটিস বলেন, চীন বা রাশিয়ার মত পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হতে পারে- তাই তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে সামরিক শক্তি বাড়ানো উচিত। তিনি মনে করেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অর্থব্যয় বন্ধ করে সামরিক শক্তিবৃদ্ধির দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ দেয়া দরকার।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার পর থেকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচালিত মার্কিন অভিযানকে আর মূল বিষয় হিসেবে দেখতে চায় না ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন প্রতিরক্ষা নীতিকে মার্কিন সামরিক নীতির বড় পরিবর্তন হিসাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ম্যাটিস বলেন, ‘আমরা ক্রমেই রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলি থেকে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি। তারা এমন একটি বিশ্ব তৈরি করতে চায় যা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়কে প্রভাবিত করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মার্কিন এই নীতি স্নায়ুুযুদ্ধের সময়কালের মতো। এর ফলে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হবে। বিভিন্ন অঞ্চলে ছায়াযুদ্ধ শুরু হবে।’
ওয়াশিংটনের এমন নীতির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্টমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পরিবর্তে সংঘর্ষের মাধ্যমে বিশ্বে তাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
অন্যদিকে, চীন একে স্নায়ুুযুদ্ধের মানসিকতা বলে উল্লেখ করেছে। রয়টার্স