জঙ্গি নাফিসের লাশ দেখে বাড়ি ফিরে গেলেন বাবা
মাসুদ আলম : রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া জঙ্গি আস্তানা ‘রুবি ভিলায়’ র্যাবের অভিযানে নিহত নাফিস উল ইসলাম ওরফে আবদুল্লাহর মৃতদেহ দেখে বাড়ি ফিরে গেলেন বাবা মো. নজরুল ইসলাম। শুক্রবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ছেলের মৃতদেহ শনাক্ত করে রাত ১০টার দিকে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
নাফিসের বিষয়ে তিন ঘন্টা নজরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা হতাশা থেকে জঙ্গি কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ে নাফিস। নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে দু’জনের পরিচয় শনাক্ত হলেও অপরজনের পরিচয় মেলেনি। এদের নেপথ্যে এক বড় ভাই রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। শনাক্ত হওয়া দুই জঙ্গির লাশ নেবেনা তাদের পরিবার।
র্যাব-৩ অধিনায়ক লে. কর্ণেল ইমরানুল হাসান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুষ্ট স্বভাবের ছিলো নাফিস। অধিকাংশ সময় ঘরের বাহিরে থাকতো সে। চট্রগ্রাম কলেজের পূর্ব গেট এলাকায় ‘শাহ আমানত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর’ নামে মুদির দোকান রয়েছে। দোকানের পাশেই পরিবার নিয়ে থাকেন নজরুল। প্রায় ১০ বছর আগে নাফিসের বাবার সঙ্গে তার মায়ের ডির্ভোস হয়ে যায়। তার পর নাফিসের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মায়ের কাছে থাকতো নাফিস ও তার ছোট বোন। দ্বিতীয় সংসারে আরেকটি বোন রয়েছে নাফিসের। গতবছর ৬ অক্টোবর নিখোঁজ হয় নাসিফ। পরদিন নগরের চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নজরুল ইসলাম। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে নাফিসদের বাসা থেকে ৬টি উগ্রবাদী গ্রুপের ফরম ও জিহাদী বই উদ্ধার করে। নিখোঁজের পর নাফিসের সন্ধানে তার বাবা স্কুলে গিয়ে জানতে পারে স্কুলের বেঞ্চে, টেবিল ও দরজায় ফোর্স অব মুজাহিদিন (এফএম) লেখা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নাফিসের বাবা তার মুখ দেখতে চাননি। তদন্তের স্বার্থে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে নাফিস হতাশ ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে এজন্য সে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে। নাফিসের ফুফাতো ভাই মো. সাইফুদ্দিন বলেন, আমি ওমানে থাকি, দেড় মাস আগে দেশে এসেছি। নাফিস মেধাবী ছিল। স্কুলে স্কাউট করতো, বিএনসিসি সদস্য ছিল। সম্পাদনা : ইসমাঈল হুসাইন ইমু