জমির কারণে ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ অনিশ্চিত
আহমেদ রাজু : পাইপ লাইন নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আগামী এপ্রিলে ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিরাজমান গ্যাস সংকট মেটাতে বিদেশ থেকে তরল গ্যাস আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোবাংলা। এজন্য গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) একটি উচ্চচাপ পাইপ লাইন স্থাপনের প্রস্তুতিও নিয়েছে। কিন্তু জমি না পাওয়ায় পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরুই করতে পারছে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ইতিমধ্যে আগামী জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধির জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আবেদন জানিয়েছে জিটিসিএল। বৈঠকে ভূমি অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ করতেও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পেট্রোবাংলা এ বিষয়ে কথা বলতে চাইছে না। পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) জামিল এ আলীমের কাছে জমি সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জিটিসিএল ভালো বলতে পারবে।
জিটিসিএল জানায়, মহেশখালী-আনোয়ারা ও বাখরাবাদ-চট্টগ্রাম পাইপলাইনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে আনোয়ারা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত একটি ২৯০ কিলোমিটার উচ্চচাপ পাইপলাইন নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা। এই পাইপলাইন যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৬ সালের এপ্রিলে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
জিটিসিএল জানায়, সীতাকু- উপজেলার ৮ হাজার ২৯৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৩ হাজার ৮১৯ একর ভূমি হুকুমদখল, আনোয়ারা ও বন্দর থানার ১০ হাজার ২৩৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ১৮ হাজার ৯২৮ একর ভূমি হুকুমদখল করার কথা রয়েছে। অধিগ্রহণের কাজ শেষ হলেই শুরু হবে পাইপলাইন নির্মাণের কাজ।