একাত্তরে আনা ফ্রাংকের মতোই কষ্ট সয়েছিল এদেশের শিশু-কিশোররা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আনোয়ার হোসেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হিটলারের ইহুদি নিধনযজ্ঞের বলি কিশোরী আনা ফ্রাংকের জীবনী আজও শান্তিপ্রিয় মানুষের জন্য অনুসরণীয়। বিশেষত শিশু-কিশোরদের জন্য। একাত্তরে বাংলাদেশের রক্তাক্ত স্বাধীনতাযুদ্ধেও এদেশের শিশু-কিশোররাও আনা ফ্রাংকের মতো অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেছিল। গতকাল শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত ‘আনা ফ্রাংক-আ হিস্ট্রি ফর টুডে’ শীর্ষক প্রদশর্নী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন ১৫ জুলাই, ডায়েরি আর আনা ফ্রাংক যেন সমার্থক। স্কুলপড়–য়া ছেলেমেয়েরাও জানে আনার কথা। আনা ফ্রাংক গোপন আস্তানায় পালিয়ে থাকার সময় তার একমাত্র বন্ধু হয়ে উঠেছিল তার প্রিয় ডায়েরিটি। সুদূর ইউরোপের এই কিশোরী পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ জুড়েও। অথচ তার মৃত্যু ১৯৪৪ সালে। কি আশ্চর্যের বিষয়, ৭০ বছর পর আজও আনা ফ্রাংক প্রাসঙ্গিক!
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারিটা কুলেনারে বলেন, বর্তমান বিশ্বে আবারও সন্ত্রাস ও ঘৃণা ফিরে আসছে। একে চলতে দেয়া যায় না। আনা ফ্রাংকের কথাই আমাদের শান্তির পথে ফিরিয়ে আনতে পারে।
জার্মান দিনপঞ্জি লেখক আন্নেলিস মারি ফ্রাংক বা আনা ফ্রাংক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে হিটলারের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার। তার ডায়েরিতে ফুটে উঠে বিপন্ন ইহুদিদের মর্মান্তিক জীবন ও বাচার আকুতি। ইহুদি-নিগ্রহে আনা মারা যাওয়ার পর তার দিনপঞ্জিটি প্রকাশিত হয়। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম