শাহজালালে প্রতারক চক্রের ফাঁদে যাত্রীরা
মবিনুর রহমান : হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতারক ও চোরচক্র। সাধারণ যাত্রীদের অনভিজ্ঞতা, ব্যস্ততা, কিছুটা ভয় ও সরলতার সুযোগে এই অসাধু চক্র তাদের মালামাল ও অর্থকড়ি লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া এই বিমানবন্দরে অভিনব পদ্ধতিতে যাত্রীদের মূল্যবান সামগ্রী এবং রপ্তানির উদ্দেশ্যে পাঠানো পণ্য গায়েব করার ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলছে। বিমানবন্দরের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, সাধারণত যারা গ্রাম থেকে প্রথমবারের মতো বিদেশে যান এবং বিমানবন্দর এলাকার নিয়ম-কানুন সম্পর্কে যারা অবগত নন, তারাই বেশি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
ভুক্তভোগী রাশেদ নামে এক যাত্রী জানান, তার ভাই ইকবাল মালয়েশিয়ায় যাবে। ভাইকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দর এসেছেন । তার ভাই ইমিগ্রেশনে প্রবেশের পর তার কাছে ফোন আসে। ‘আপনার ভাই টিকিট-পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছেন। মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না। দ্রুত একটি নম্বরে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করেন। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ এ সময় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন তিনি কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে, অন্যপাশ থেকে আরেকজনের ছোট্ট উত্তর আসে ‘হু..’। তিনি বিচলিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে টাকা বিকাশ করে পাঠান। রাশেদের আরেক আত্মীয় যখন বিষয়টি জানতে পারেন তখন তিনি আর্মড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানতে পারেন যে, ইকবাল কোনো ঝামেলা ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটে উঠেছেন। এভাবেই বিমানবন্দরে রাশেদের মতো অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন আরও অনেক প্রবাসী ও বিদেশগামী যাত্রী এবং তাদের স্বজনরা।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের এএসপি তারিক আহমেদ জানান, বিমানের পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির এয়ারলাইন্সের কর্মচারী, বিমানবন্দর এলাকায় ভাড়া গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা এইসব অপরাধ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। প্রতারণার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আমরা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের কাছে হস্তান্তর করি। আমরা এয়ারপোর্টের ক্যানোপি এলাকা ও ডিপার্টচার এলাকায় যাত্রী ছাড়া অন্য কাউকে আসতে দেই না। কারণ এসব এলাকায় ভিড় বেশি হলে প্রতারক ও চোরচক্র ভিড়ের মধ্যে মিশে সহজেই অপরাধ কর্মকান্ড ঘটান। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফত