যশোরে টেন্ডারবাজির টাকায় ভাগ বসাতে গেলে খুন
সায়িদ সরদার : ২০১৭ সালে যশোর জেলায় মোট ৮০ জন খুন হয়েছে। আমাদের যশোর জেলায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলার কিছু ধান্ধাবাজ নেতা-কর্মী বেড়ে গেছে, তারা তাদের নিজেরদের দিকটাকে বেশি করে প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং যশোর জেলাটিকে কিভাবে উন্নয়ন করা যায়, সেটি নিয়ে ভাবে না। এই নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন টেন্ডারবাজীতে জড়িয়ে পড়ছে, এই টেন্ডারবাজীর মাধ্যমে যে টাকা ইনকাম হয়, সেটি একজনই ভোগ করবেন। সেটিতে অন্য কেউ ভাগ বসাতে গেলে তাকে খুন করা হয়। এবং যারা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে আছেন, তাদের নিচের দিকের নতুন কেউ রাজনৈতিকভাবে গড়ে উঠতে গেলে, তাকে উপরের রাজনৈতিক নেতাবৃন্দ খুন করছে। তারা মনে করেন তাদের উপরে যেন কোন নেতাকর্মী তৈরী না হয়। আমি মনে করি, আমাদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে নিজেরা সংঘর্ষ করে নিজেরা খুন হচ্ছে। এ কারণে যশোর জেলায় খুনের পরিমানটা বেড়ে গেছে। যশোর জেলাতে অনেক মাদক ব্যবসায়ি ব্যবসা করে থাকেন। কিন্তু এদেরকে সামাজিকভাবে বাধা দিতে গেলে একে অপরকে খুন করছে।
এই মাদক ব্যবসায়িরা বিভিন্ন খুন করে সেটি রাজনৈতিকভাবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেকে বিভিন্ন কারণে খুন হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকার আসার পরে অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০১৭ সালে খুনটা কম হয়েছে। যারা এই খুনের সাথে জড়িত আছে এবং যারা এই খুন-খারাপি করে থাকে, তাদের আইন অনুযায়ি শাস্তি নিশ্চিত হওয়া দরকার।
লেখক : সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, যশোর জেলা ছাত্রলীগ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ