দেশের বেশীর ভাগ মানুষ মাদকের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে সচেতন নয়
ডা. শাকির মুবাশ্বির : আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ মাদকের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে সচেতন নয়। অনেকইে মনে করে, যারা মাদকাসক্ত তাদের কোনো নৈতিকতা বা মূল্যবোধ নেই। তাদের সঠিক পথে আসার ইচ্ছা শক্তি কম, অথচ চাইলে মাদক বন্ধ করে দিতে পারে। সাধারণ মানুষ মাদকাসক্তদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করে। আমরা যেটা বলি, মাদকাসক্ত হওয়া কমপ্লেক্স বা জটিল একটা ব্যাধি। মাদকের কারণে মস্তিষ্কে সমস্যা হতে পারে। নার্ভাসনেস কাজ করে। সাইক্রিয়াটিক ডিজিজ হতে পারে।আতœসামাজিকতার বিষয়টি তো আছেই। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে, ড্রাগ আমাদের এমনভাবে আসক্ত করে ফেলে, যা ছাড়া কঠিন এবং যারা মাদক সেবন করে, তাদের মস্তিষ্কের কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন হয়, তারা চাইলেও ছাড়তে পারে না। তাদের মধ্যে এক ধরনের আকাঙ্খা সৃষ্টি হয়। একটা চক্রের সাথে মিশে প্রথমে ড্রাগ নেয়া শুরু করে তরুনরা, পরে মনে করে আর একবার নিই। তারা দেখা যাচ্ছে একটা গ্রুপের সাথে মাদক সেবন করে। পরবর্তিতে ড্রাগ নিতে নিতে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, যেন এটা ছাড়া থাকতে পারে না। আর যতক্ষণ এই অবস্থা চলে, ততক্ষণে সে বা তারা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেকে অনেক কথা বলেন। সর্ব প্রথম করণীয় হলো সচেতনতা।
মাদকাসক্ত লোক খারাপ এ কথাটা মাথা থেকে বাদ দিতে হবে। যারা মাদকাসক্ত তারা খারাপ লোক নয়। যুবসমাজকে যাতে মাদকাসক্ত না করতে পারে সেজন্য তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। মাদক বন্ধের ব্যাপারে কঠোর আইন করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিচিতি : প্রভাষক, ডিসিআইএমসিএইচ
মতামত গ্রহণ : কায়েস চৌধুরী
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ