আওয়ামী লীগের নিজ ঘরানাতেই খুনোখুনি বেশি
আবু সাঈদ খান : যশোরে এক বছরে ৮০ জন খুন। মেজরিটি আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী ঘরানার আভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার তারা। বাইরের কোনো দল এতে সম্পৃক্ত নেই বললেই চলে। আওয়ামী লীগের হাতেই আওয়ামী লীগ খুন হয়েছে। যদি আওয়ামী লীগের শাসনামলেই আওয়ামী লীগ একের পর এক খুন হতে থাকে, তাহলে জনগনের নিরাপত্তা কোথায়? রাজনীতির সাথে ইয়াবা ও চোরাচালান জড়িয়ে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে যে, রাজনৈতিক কারণে একটা লোক খুন হচ্ছে কিন্তু খুনের কারণ অরাজনৈতিক, ব্যবসা সংক্রান্ত। এক ধরনের সহিংসতা বেড়েই যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে মানুষ নির্মমতার বলি হচ্ছে এবং নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। যশোরে বিভিন্ন অপরাধ চক্র গড়ে উঠেছে এবং রাজনৈতিক দলের ছাতার নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যশোরে জামায়াত আর সন্ত্রাসীরা মিশে গেছে। ক্ষমতায় থাকার মধ্য দিয়ে সমস্ত সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। যে দলই ক্ষমতায় যায়, অপরাধিরা সেই দলের ছাতার নিচেই আশ্রয় গ্রহণ করে।
আওয়ামী লীগের ব্যাপারেও তাই ঘটছে। কোনো ক্ষেত্রে হতে পারে যে, এই খুনোখুনির সাথে বিরোধী দল জড়িত। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এতে নিজ ঘরানার ঠিকাদারী, স্মাগলিং এ সবের ভাগাভাগি জড়িত। এই খুনোখুনিকে রাজনৈতিক খুনোখুনি বলা যায় না।
পরিচিতি: সিনিয়র সাংবাদিক
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল আবদুল অদুদ